চিঠিপত্র (দশম খণ্ড, ১৯৬৭)/দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিত/১১

১১

[ডিসেম্বর ১৯০২]

শান্তিনিকেতন

প্রিয়বরেষু

 ঈশ্বর আমাকে যে শোক দিয়াছেন তাহা যদি নিরর্থক হয় তবে এমন বিড়ম্বনা আর কি হইতে পারে! ইহা আমি মাথা নীচু করিয়া গ্রহণ করিলাম। যিনি আপন জীবনের দ্বারা আমাকে নিয়ত সহায়বান করিয়া রাখিয়াছিলেন তিনি মৃত্যুর দ্বারাও আমার জীবনের অবশিষ্টকালকে সার্থক করিবেন। তাঁহার কল্যাণী স্মৃতি আমার সমস্ত কল্যাণ কর্ম্মের নিত্যসহায় হইয়া আমাকে বলদান করিবে।

 ভুবনডাঙ্গার পরশুরাম পণ্ডিতের বাড়িটি আমি আপনার জন্য চাহিয়া লইয়াছি। আজ বিকালে দেখিতে যাইবার কথা আছে। সে বাড়িটি হিন্দুস্থানীর রচিত সুতরাং জানলার বাহুল্য নাই— দক্ষিণে দরজা আছে, উত্তরে দেয়াল। শীতকালে তাহাতে বিশেষ কষ্ট না হইতে পারে। একটি কূপ আছে— আঙিনা আছে। ঘর দ্বারের কিরূপ পরিমাণ ও অবস্থা আজ দেখিয়া আসিয়া আপনাকে লিখিব। পত্র পাইলেই আসিতে পারিবেন। বায়ু পরিবর্ত্তনে আপনার উপকার হইবে বলিয়া আশা করি। এখন আমার জামাতা এখানে আছেন তিনি L.M.S. ডাক্তার— সুতরাং চিকিৎসার জন্য আপনাকে চিন্তিত হইতে হইবে না। অরুণ বেশ ভালই আছে। সে আপনার প্রেরিত গরম কাপড় ব্যবহার করিতেছে। ইতি ১৮ই অগ্রহায়ণ ১৩০৯ ১২

অনুরক্ত
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর