চিত্রা/নীরব তন্ত্রী
< চিত্রা
(পৃ. ১৩৯-১৪১)
নীরব তন্ত্রী।
“তোমার বীণায় সব তার বাজে,
ওহে বীণ্-কার,
তারি মাঝে কেন নীরব কেবল
একখানি তার”?
“ভব-নদীতীরে হৃদি মন্দিরে
দেবতা বিরাজে,
পুজা সমাপিয়া এসেছি ফিরিয়া
আপনার কাজে।
বিদায়ের ক্ষণে শুধাল পূজারী,—
দেবীরে কি দিলে?
তব জুনমের শ্রেষ্ঠ কি ধন
ছিল এ নিখিলে?—
কহিলাম আমি-সঁপিয়া এসেছি
পূজা-উপহার
আমার বীণায় ছিল যে একটি
সুবর্ণ তার;
যে তারে আমার হৃদয়বনের
যত মধুকর
ক্ষণেকে ক্ষণেকে ধ্বনিয়া তুলিত
গুঞ্জন স্বর,—
যে তারে আমার কোকিল গাহিত
বসন্ত গান-
সেইখানি আমি দেবতা চরণে
করিয়াছি দান।
তাই এ বীণায় বাজেনা কেবল
একখানি তার,—
আছে তাহা শুধু মৌন মহৎ
পুজা-উপহার।”
৪ ফাল্গুন,
১৩০২।