চৈতালি/পুণ্যের হিসাব

পুণ্যের হিসাব

সাধু যবে স্বর্গে গেল চিত্রগুপ্তে ডাকি
কহিলেন, ‘আনাে মাের পুণ্যের হিসাব।’
চিত্রগুপ্ত খাতাখানি সম্মুখেতে রাখি
দেখিতে লাগিল তার মুখের কী ভাব।
সাধু কহে চমকিয়া, ‘মহা ভুল এ কী!
প্রথমের পাতাগুলো ভরিয়াছ আঁকে,
শেষের পাতায় এ যে সব শূন্য দেখি।
যতদিন ডুবে ছিনু সংসারের পাঁকে
ততদিন এত পুণ্য কোথা হতে আসে।’
শুনি কথা চিত্রগুপ্ত মনে মনে হাসে।
সাধু মহা রেগে বলে, ‘যৌবনের পাতে
এত পুণ্য কেন লেখ দেবপূজা-খাতে!’
চিত্রগুপ্ত হেসে বলে, ‘বড়ো শক্ত বুঝা।
যারে বলে ভালােবাসা তারে বলে পূজা।’

১৪ চৈত্র ১৩০২