স্বার্থ

কে রে তুই, ওরে স্বার্থ, তুই কতটুকু—
তোর স্পর্শে ঢেকে যায় ব্রহ্মাণ্ডের মুখ,
লুকায় অনন্ত সত্য; স্নেহ সখ্য প্রীতি
মুহূর্তে ধারণ করে নির্লজ্জ বিকৃতি;
থেমে যায় সৌন্দর্যের গীতি চিরন্তন
তোর তুচ্ছ পরিহাসে। ওগো বন্ধুগণ,
সব স্বার্থ পূর্ণ হোক। ক্ষুদ্রতম কণা
ভাণ্ডারে টানিয়া আনো— কিছু ত্যজিয়ো না।
আমি লইলাম বাছি চিরপ্রেমখানি,
জাগিছে যাহার মুখে অনন্তর বাণী
অমৃতে অশ্রুতে মাখা। মোর তরে থাক্‌
পরিহাস্য পুরাতন বিশ্বাস নির্বাক্‌।
থাক্‌ মহাবিশ্ব, থাক্‌ হৃদয়-আসীনা
অন্তরের মাঝখানে যে বাজায় বীণা।

১১ শ্রাবণ ১৩০৩