সাজাদপুর।
ফেব্রুয়ারি ১৮৯১।

 এখানকার পোষ্টমাষ্টার এক একদিন সন্ধের সময় এসে আমার সঙ্গে এইরকম ডাকের চিঠি যাতায়াতসম্বন্ধে নানা গল্প জুড়ে দেন। আমাদের এই কুঠিবাড়ির একতলাতেই পোষ্টআফিস্‌-বেশ সুবিধে—চিঠি আসবামাত্রই পাওয়া যায়। পোষ্ট্রমাষ্টারের গল্প শুন্‌তে আমার বেশ লাগে। বিস্তর অসম্ভব কথা বেশ গম্ভীরভাবে বলে যান। কাল বল্‌ছিলেন, এ দেশের লোকের গঙ্গার উপর এমনি ভক্তি, যে এদের কোন আত্মীয় মরে গেলে তার হাড় গুঁড়ো করে রেখে দেয়, কোনকালে গঙ্গার জল খেয়েছে এমন লোকের যদি সাক্ষাৎ পায় তাহলে তাকে পানের সঙ্গে সেই হাড় গুঁড়ো খাইয়ে দেয় আর মনে করে তার আত্মীয়ের একটা অংশের গঙ্গালাভ হল। আমি হাস্‌তেহাস্‌তে বল্লুম “এটা বোধ হয় গল্প।” তিনি খুব গম্ভীরভাবে চিন্তা করে স্বীকার করলেন “তা হতে পারে।”