তীর্থরেণু/বৌ-দিদি
“বৌ-দিদি”
বৌ-দিদি চাস্? বোন্টি আমার,
বৌ-দিদি তোর চাই?
তারার হাটে খুঁজব এবার
দেখব যদি পাই!
তুই যে মোদের পুণ্যপ্রভা,—
ঠাকুর ঘরের দীপ;
তোর মতটিই আন্তে হ’বে
পুণ্য হোমের টিপ্।
স্বপ্ন-দেবীর পাখা দু’খান্
ধার ক’রে-না-নিয়ে,
ঝড়ের রাতে বেরিয়ে যাব
কারেও না জানিয়ে;
ধর্ব গিয়ে ঝড়ের বেগে
রামধনুকের ডোর,
রামধনুকের একটি রেখা
বৌ-দি’ হ’বে তোর!
ডুবব সোজা সাগর জলে
সূর্য্যালোকের মত,
প্রবাল-গুহায় অপ্সরীরা
নাইতে যেথায় রত,
পরীরাণীর মুকুটখানি
আন্ব সাথে মোর;
সেই মুকুটের মধ্য-মণি
বৌদি’ হবে তোর!
পক্ষীরাজের পিঠেতে সাজ
মুখে লাগাম দিয়ে,
যাদু-জানা পাগল্-পানা
কল্পনাকে নিয়ে,
সটান্ গিয়ে কল্প-লোকের
আন্ব সে মন্দার,
বৌদি’ তোমার সেই তো হ’বে;
বোন্টি গো আমার।
ডিরোজিয়ো।