নাগপাশ/প্রথম খণ্ড/দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।

গৃহে ৷

“কি হ’বে—আমার মন যদি যায় ভুলে?
আমার বালির শয্যায় কালীর নাম দিও কর্ণমূলে।”

 দত্তগৃহের চণ্ডীমণ্ডপে পূর্ব্বপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই গান গাহিতেছিলেন। বাঙ্গালীর সামাজিক জীবনে ‘ক্লবে’র আবশ্যক না হইবার কারণ, গ্রামের এক এক পাড়ায় এক এক গৃহে মিলনক্ষেত্র ছিল—এখনও স্থানে স্থানে আছে। সেখানে ধূমপান, সমাজচর্চ্চা, পরচর্চ্চা, দাবা ও পাশাখেলা এবং সঙ্গীতাদি হইত। গৃহস্বামীর অবারিত আহ্বানে কেহই কোনরূপ সঙ্কোচ বোধ করিতেন না। যে স্থানে জনে জনে ঘনিষ্ঠতাই সামাজিক জীবনের বিশেষত্ব, সে স্থানে এ সঙ্কোচ থাকে না। ভারতবর্ষে এই ঘনিষ্ঠতা ঘনিষ্ঠতম করিবার জন্য গ্রাম্যসমিতির সৃষ্টি।

 চণ্ডীমণ্ডপে বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই গান গাহিতেছিলেন; আর পার্শ্বের কক্ষে প্রভাত ও নবীনচন্দ্র পরামর্শ করিতেছিলেন। প্রভাত ধরিয়াছে, পরদিবস গ্রামের সীমান্তে বিলে মৎস্য ধরিতে যাইবে। নবীনচন্দ্রের সম্মত হওয়া ব্যতীত গত্যন্তর নাই।

 পর দিন প্রভাত প্রত্যুষেই শয্যাত্যাগ করিল। নিশাবসানে যখন জীবজগৎ প্রথম জাগরিত হয়, প্রথম আলোকবিকাশসূচনাকালের সেই বর্ণনাতীত সৌন্দর্য্য উপভোগের সুযোগ পল্লীগ্রামে যেমন হয়, জনারণ্য ও সৌধারণ্য নগরে তেমন হয় না। যখন প্রভাতপবনে প্রথম সুপ্তোত্থিত বিহগের কলকূজিত ভাসিতে থাকে, নিশাবসানে প্রকৃতিতে প্রথম জীবনসঞ্চার অনুভূত হয়—সেই শুভ সময়ের শোভা অনুভবযোগ্য—বর্ণনীয় নহে। নবীনচন্দ্র তৎপূর্ব্বেই উঠিয়াছিলেন। উভয়ে ভ্রমণে বাহির হইলেন।

 মধ্যাহ্নে আহারের পরই প্রভাত বিলে যাইবার জন্য ব্যগ্রতা প্রকাশ করিতে লাগিল। অল্পক্ষণ বিশ্রামের পরই পিতৃব্য ও ভ্রাতুষ্পুত্ত্র বাহির হইলেন। এক জন ভৃত্য ছিপ, টোপ প্রভৃতি লইয়া চলিল। সঙ্গে সঙ্গে কতকগুলি পল্লীবালক চলিল—পথে ক্রমেই তাহাদের সংখ্যা বর্দ্ধিত হইতে লাগিল।

 বিলের কূলে একটি বৃদ্ধ বটবৃক্ষ বিলের জল পর্য্যন্ত অবারিত ছায়া বিস্তার করিয়া দাঁড়াইয়া আছে। নবীনচন্দ্র সেই বৃক্ষছায়ায় বসিলেন, এবং প্রভাতকে বসাইলেন। বঁড়শিতে টোপ গাঁথিয়া জলে ফেলা হইল। সম্মুখে বিলের অনতিগভীর জলবিস্তার—নিস্তরঙ্গ, স্থির, স্বচ্ছ; কেবল স্থানে স্থানে জলচর-সঞ্চারচঞ্চলিত জলরাশি বৃত্তাকারে ঘুরিয়া স্থির হইতেছে, বা তীর পর্য্যন্ত আসিয়া ব্যাকুলতা জানাইতেছে। জলতলে শরতের আকাশে গতিশীল—চঞ্চল শ্বেত মেঘমালা প্রতিবিম্বিত হইতেছে। রাশি রাশি জলচর বিহঙ্গম উড়িতেছে,—কাহারও দীর্ঘচরণ বিলম্বিত, চক্ষুদ্বয় উর্দ্ধে বিস্ফারিত; কেহ বা বিস্তারিতপক্ষ—অলসগতি। কতকগুলি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র বিহগ জলের উপরেই দ্রুতবেগে উড়িতেছে। কোথাও কোথাও দুই একটি বিহগ ডুব দিতেছে। জলে জলজ গুল্ম জন্মিয়াছে; সেই গুল্মমধ্যে ও পঙ্কে বহু জীব জন্মিতেছে—মরিতেছে; বহু জীব সেই জলে জীবন ধারণ করিতেছে, আবার সেই জলে মৃত্যুর অমোঘ অস্ত্র বিষবাষ্প উত্থিত হইতেছে। সে জলরাশি একাধারে রমণীয় ও ভয়ঙ্কর। তীরে বৃক্ষশাখায় বহু হরিৎ পারাবত কূজন-রত; বর্ণবৈচিত্র্যরমণীয় অসংখ্য পক্ষী শাখা হইতে শাখান্তরে—বৃক্ষ হইতে বৃক্ষান্তরে উড়িয়া বসিতেছে। দীর্ঘকালের পর এই রমণীয় অবিকৃত স্বাভাবিক দৃশ্য দেখিয়া প্রভাতচন্দ্রের নগরদৃশ্যক্লান্ত নয়ন যে স্নিগ্ধ শান্তি লাভ করিল, তাহা বুঝাইব কেমন করিয়া?

 অদূরে একটি বৃক্ষমূলে বিহগের চঞ্চুচ্যুত ফলের কঠিন অস্থি লক্ষ্য করিয়া বৃক্ষশাখা হইতে একটি কাঠবিড়াল নিঃশব্দ-দ্রুতগতিতে আসিয়া সেটিকে ধরিল; অত্যন্ত নিপুণ হস্তে সেটিকে ঘুরাইয়া ফিরাইয়া পুনঃপুনঃ দর্শন করিতে লাগিল; উদ্দেশ্য,— ভাঙ্গিয়া মধ্যস্থিত কোমল অংশ আহার করিবে। অল্পক্ষণ পরেই আর একটি কাঠবিড়াল সন্ধান পাইয়া ঊর্দ্ধপুচ্ছে আসিল। তখন উভয়ে কলহ আরব্ধ হইল—বিষম সংগ্রামে কেহ ঊর্দ্ধে— কেহ নিম্নে গড়াগড়ি দিতে লাগিল—ফলাস্থি কখনও একের, কখনও অপরের করায়ত্ত হইতে লাগিল। শেষে একটি পরাজিত হইয়া বিষণ্নমনে প্রস্থান করিল। অপরটি বহু চেষ্টায় সেটি ভাঙ্গিয়া দেখিল, মধ্যে আহারোপযোগী কোমল অংশ নাই। সে তাহা ত্যাগ করিয়া একবার চারি দিকে চাহিল, তাহার পর ধারে ধীরে প্রস্থান করিল। দেখিয়া নবীনচন্দ্র বলিলেন, “এত কষ্টই বৃথা!” প্রভাত হাসিয়া উঠিল।

 বিলে যথেষ্ট মৎস্য ছিল। অল্পক্ষণ মধ্যেই মৎস্য ধৃত হইতে লাগিল। প্রথমে ফাৎনা তলাইয়া যায়, পরে সূত্রে টান পড়ে। তখন কি আশা, কি আগ্রহ,—না জানি কত বড় মৎস্য টোপ গিলিয়াছে! সাবধানে সূত্র টানিয়া আনিতে ধৃত জলচরের অঙ্গসঞ্চালনে জল চঞ্চল হইয়া উঠে। ক্রমে স্বচ্ছ জলে তাহার দেহ লক্ষিত হয়; তীরে তুলিলে সে ধড়ফড় করে,—তখন তাহাকে শৈবালমধ্যে রক্ষা করিতে হয়। সময় সময় ধৃত মৎস্য নিতান্ত নিকটে আসিয়াও পলাইয়া যায়, তখন কি হতাশা! জলমধ্যে যেটি অতি বৃহৎ বলিয়া বোধ হয়, হয় ত তীরে তুলিলে দেখা যায়, —সেটি ক্ষুদ্রকায়! ক্রমে কতকগুলি মৎস্য সংগৃহীত হইল।

 এ দিকে বেলাও শেষ হইয়া আসিল। তখন উভয়ে গৃহাভিমুখগামী হইলেন। পল্লীবালকদল কোলাহল করিতে করিতে অগ্রগামী হইল। তখন পশ্চিমদিগন্তে শরতের দিনান্তশোভা প্রকটিত হইতেছে। বিচিত্রবর্ণরঞ্জিত মেঘমালা নৃত্যপরা নর্তকীর চঞ্চল অঞ্চলের মত কখনও বিলম্বিত, কখনও সঙ্কুচিত, কখনও বিস্তারিত, কখনও আন্দোলিত হইতেছে। মেঘের উপর সমান, অসমান, সরল, বক্র রেখায় বর্ণের উপর বর্ণ ফুটিয়া উঠিতেছে; বর্ণের কোলে বর্ণ ভাসিয়া আসিতেছে। কোথাও উদ্ভেদোন্মুখ পদ্মপলাশের লোহিত আভা, কোথাও প্রবালের রক্তরাগ; কোথাও ধূসরের সহিত ঈষৎ রক্তাভার মিশ্রণ, কোথাও স্বর্ণাভ লোহিত; কোথাও পল্লবরাগতাম্র, কোথাও গাঢ় পাটল; কোথাও নীলে লালে মেশামিশি, কোথাও নিরবচ্ছিন্ন নীল; কোথাও নীলে শ্বেতের আভাষ, কোথাও নীলের কোলে শ্বেত।

 প্রভাত পিতৃব্যের সহিত গৃহে ফিরিতেছিল। যেন তাহারও অজ্ঞাতে তাহার পল্লী-প্রকৃতি নগরের বিকৃতির কৃত্রিম আবরণ ত্যাগ করিতেছিল।

 অধিকাংশ ক্ষেত্রের আশু ধান্য কর্ত্তিত ও পরিষ্কৃত হইয়া গোলায় উঠিয়াছে। যে সকল ক্ষেত্রে শস্য বিলম্বে পক্ক হইয়াছে, সে সকল ক্ষেত্রের ধান্য আনিয়া খামারে ফেলা হইয়াছে। পথিপার্শ্বে ই স্থানে স্থানে ভূমিখণ্ড পরিষ্কৃত ও গোময়লিপ্ত করিয়া খামার করা হইয়াছে। সেই খামারে কর্ত্তিতমূল ধান্য বিছান হইয়াছে; তাহার উপর কতকগুলি গরু ঘুরিতেছে। তাহাদের পায়ের চাপে শস্য বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়িতেছে। পশুগুলি সুযোগ পাইলেই এক এক গ্রাস শীর্ষ মুখে লইয়া আহার করিতেছে। আজ সে বিষয়ে তাহারা নির্ভয়; কারণ, ধান্য মাড়াইয়ের সময় গরু শস্যশীর্ষ আহার করিলে চাষীর তাহাকে তাড়না করিতে নাই।

 শরতের সান্ধ্য সমীরণ শীতের আভাষ দিতেছে। তাহার স্পর্শে বৃক্ষপত্র কম্পিত হইতেছে। অল্পকালমধ্যেই সকলে গ্রামে প্রবেশ করিলেন। তখন গৃহে গৃহে সন্ধ্যাদীপ জ্বালা হইতেছে; গ্রামের দেবমন্দির ও কোন কোন গৃহ হইতে আরতির বাদ্যধ্বনি শ্রুত হইতেছে,—ধূনার ধূম পবনে মৃদুমধুর গন্ধের সঞ্চার করিতেছে। সে যেন স্নিগ্ধ শান্তির সুখদ আভাষ। পথে বালকগণ যে যাহার গৃহে প্রবেশ করিল। প্রভাত ও নবীনচন্দ্র গৃহে আসিলেন।

 দেখিতে দেখিতে পূজার কয় দিন কাটিয়া গেল। একাদশীর দিন প্রভাতে কমলের স্বামী সতীশচন্দ্র আসিয়া উপস্থিত হইল। সতীশচন্দ্রের বাস পার্শ্ববর্ত্তী গ্রামে। সতীশচন্দ্র প্রভাতের সতীথ; বয়সে তাহার অপেক্ষা তিন বৎসরের বড়। উভয়ে একই বৎসর গ্রামের নিকটবর্ত্তী গ্রামস্থ বিদ্যালয় হইতে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। প্রভাত কলিকাতায় পড়িতে যায়। সতীশচন্দ্রের পক্ষে তাহা সম্ভব হয় নাই। সে শৈশবে পিতৃহীন, গৃহে কেবল জননী, অন্য অভিভাবক নাই। জমী জমা যাহা ছিল, বহুদিন তত্ত্বাবধানের অভাবে তাহার আয় ক্রমেই কমিতেছিল। এ অবস্থায় তাঁহার পক্ষে বিদেশে যাওয়া ঘটিল না। সতীশচন্দ্র যে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল, সেই বিদ্যালয়েই শিক্ষকের পদ লইয়া গৃহে রহিল। তাহার আশা ও আকাঙ্ক্ষা সীমাবদ্ধ হইয়া পড়িল। কিন্তু শক্তি সীমাহীন স্থানে প্রযুক্ত না হইয়া সীমাবদ্ধ স্থানের মধ্যে প্রযুক্ত হইলে অধিকাংশ স্থলে সুফল দান করে। সতীশচন্দ্রের পক্ষে তাহাই হইল। স্বল্প আকাঙ্ক্ষা ও প্রচুর অবসর লাভ করিয়া সতীশচন্দ্র আপনার মনোবৃত্তিবিকাশে ও অবস্থার যথাসম্ভব উন্নতিসাধনে প্রবৃত্ত হইল। তাহার প্রবল জ্ঞানতৃষ্ণা অবস্থানুসারে প্রচলিত সুগম পথে তৃপ্তিসুখগামিনী হইতে না পারিয়া বেগবতী স্রোতস্বতীরই মত আপনই আপনার পথ করিয়া লইল, এবং আপনার সম্পূর্ণ উপযোগী পথে প্রবাহিত হইতে লাগিল।

 সতীশচন্দ্র অল্প দিনের মধ্যেই জমীজমার সুব্যবস্থা করিল; কৃষিবিজ্ঞানের অনুমোদিত কৃষিকার্য্যের পরীক্ষায় সফলশ্রম হইয়া আপনার আয় বাড়াইতে সক্ষম হইল। অবস্থা ফিরিল। সতীশচন্দ্রের পরোপকারসাধনের যথেষ্ট সুযোগ ছিল; সে তাহার সদ্ব্যবহার করিতে জানিত। যাহাতে গ্রামের স্বাস্থ্যোন্নতি হয়, গ্রামবাসীরা রোগে ঔষধ পায়, ইচ্ছুকদিগের পক্ষে দারিদ্র্যদোষে শিক্ষালাভ অসম্ভব না হয়, সে সে সকল বিষয়ে সচেষ্ট হইত। তাহার সময় জ্ঞানার্জ্জনে, অবস্থার উন্নতিসাধনে ও পরোপকারচেষ্টায় বায়িত হইত। গ্রামের দুঃখী, দরিদ্র, কৃষক ও শ্রমজীবী সকলে তাহাকে যেমন ভালবাসিত, তেমনই শ্রদ্ধা করিত। সতীশের স্নেহশীলা জননী তাহার পরোপকারসাধনব্রতে তাহাকে সর্ব্বদা উৎসাহিত করিতেন। তিনি কাহারও নয়নে অশ্রু দেখিতে পারিতেন না। কাহারও আহার হয় নাই শুনিলে, তিনি আপনার অন্ন তাহাকে দিয়া উপবাস করিতে চাহিতেন। পল্লীর দুঃখিনীরা তাঁহাকে দেবী জ্ঞান করিত। তাঁহার দয়ায় অনেকের দিনপাতের সুবিধা হইত; বেদনাকাতর হইলে তাহারা তাঁহাকে কষ্ট জানাইয়া সান্ত্বনালাভ করিত। এই পরিবারে কমলের আদরের অন্ত ছিল না, সুখের সীমা ছিল না। নিষ্কলঙ্কচরিত্র স্বামীর অনাবিল প্রেমে ও শাশুড়ীর অসাধারণ স্নেহসম্পদে সে সম্পদশালিনী ছিল। সকলের মুখেই সে স্বামীর প্রশংসা শুনিত। তাহার মত সুখ কয় জনের?

 সতীশচন্দ্র শ্বশুরালয়ে বিজয়ার প্রণাম করিতে আসিয়াছিল; সেই দিনই ফিরিতে চাহিল। কিন্তু তাহা হইয়া উঠিল না; তাহাকে চারি দিন থাকিয়া যাইতে হইল।

 এ দিকে প্রভাতের পূজার ছুটী ফুরাইয়া আসিল। সে কলিকাতায় প্রত্যাবর্ত্তনের আয়োজন করিতে লাগিল। দুই বৎসর হইতে পিসীমা তাহার বিবাহের জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছেন। তিনি নিতান্ত জিদ করিলে নবীনচন্দ্র বুঝান, এখন ছেলেরা অধিক বয়সে বিবাহ করিতে চাহে; প্রভাত না হয় দু’দিন পরেই বিবাহ করিবে। এবার পিসীমা নিতান্ত ব্যগ্রতা প্রকাশ করিতে লাগিলেন; প্রভাতকে বলিলেন, “এবার আমি কিছুতেই শুনিব না। মাঘ মাসে তোর বিবাহ দিব।” নবীনচন্দ্র বলিলেন, “দিদি, ওর যদি এখন ইচ্ছা—” পিসীমা বাধা দিয়া বলিলেন, “ওর আবার ইচ্ছা কি? বাপ মা মত করিয়া বিবাহ দিবে, তাহাতে ছেলের আবার মত কি? তোদের কি সবই নূতন? তোর বিবাহের সময় তোর মত কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল? তুই চুপ কর। আমি কোনও কথা শুনিব না। মাঘ মাসে উহার বিবাহ দিতেই হইবে।”