৩৫

কালি হাস্যে পরিহাসে গানে আলোচনে
অর্ধরাত্রি কেটে গেল বন্ধুজন-সনে;
আনন্দের নিদ্রাহারা শ্রান্তি বহে লয়ে
ফিরি আসিলাম যবে নিভৃত আলয়ে
দাঁড়াইনু আঁধার অঙ্গনে। শীতবায়
বুলালো স্নেহের হস্ত তপ্ত ক্লান্ত গায়
মুহুর্তে চঞ্চল রক্তে শান্তি আনি দিয়া।

মুহূর্তেই মৌন হল স্তব্ধ হল হিয়া
নির্বাণপ্রদীপ বিক্ত নাট্যশালা সম।
চাহিয়া দেখিনু উর্ধ্ব-পানে; চিত্ত মম
মুহূর্তেই পার হয়ে অসীম রজনী
দাঁড়ালো নক্ষত্রলোকে।

হেরিনু তখনি—
খেলিতেছিলাম মোরা অকুণ্ঠিত মনে
তব স্তব্ধ প্রাসাদেব অনন্ত প্রাঙ্গণে।