সে উদার প্রত্যুষের প্রথম অরুণ
যখনি মেলিবে নেত্র— প্রশান্ত করুণ—
শুভ্রশির অভ্রভেদী উদয়শিখরে,
হে দুঃখী জাগ্রত দেশ,​​ তব কণ্ঠস্বরে
প্রথম সংগীত তার যেন উঠে বাজি
প্রথম ঘোষণাধ্বনি।

তুমি থেকো সাজি,
চন্দনচর্চিত স্নাত নির্মল ব্রাহ্মণ,
উচ্চশির ঊর্ধ্বে তুলি গাহিয়ো বন্দন,
‘এসো শান্তি,​​ বিধাতার কন্যা ললাটিকা,
নিশাচর পিশাচের রক্তদীপশিখা
করিয়া লজ্জিত। তব বিশাল সন্তোষ
বিশ্বলোক-ঈশ্বরের রত্নরাজকোষ।
তব ধৈর্য দৈববীর্য। নম্রতা তোমার
সমুচ্চ মুকুটশ্রেষ্ঠ,​​ তাঁরি পুরস্কার।’