পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/১১৩
পণ্ডিত মতিলাল নেহরুকে লিখিত
শ্রদ্ধেয় পণ্ডিতজী,
আপনার অবগতির জন্য লিখিতেছি যে, ২১শে মার্চ্চ তারিখে আপনাকে লেখা নিম্নলিখিত তারটি রেঙ্গুনের আই জি অব প্রিজন্স্-এর কাছে পাঠাইয়াছিলাম এই অভিপ্রায়ে যে, উহা সরাসরি অথবা কলিকাতার সি আই ডি বিভাগ মারফৎ আপনার নিকট প্রেরিত হইবে। আশা করি এতদিনে উহা আপনি পাইয়াছেন।
টেলিগ্রাম
পণ্ডিত মতিলাল নেহরু। দিল্লী।
রেঙ্গুন জেলের সুপারিণ্টেণ্ডেণ্টের আচরণে সৌজনের একান্ত অভাব। আমাকে সত্বর অন্যত্র বদলী করার জন্য দয়া করিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে অনুরোধ করিবেন। —সুভাষ |
বেশ কিছুদিন যাবৎ এই গণ্ডগোল চলিতেছিল কিন্তু উহা ১৯শে তারিখ শনিবার চরম আকার ধারণ করে। আমি সমস্ত ঘটনা খুলিয়া লিখিতে চাই না; কারণ তাহা হইলে এই পত্র আটক হইতে পারে।
ইতিপূর্ব্বে মহামান্য বর্ম্মার গভর্নরকে সব কথা জানাইয়া দুইটি পত্র দিয়াছি। আপনাকে লেখার উদ্দেশ্য এই যে, যদি বর্ম্মা সরকার মনে করেন তাঁহারা দিল্লীর অনুমতি ব্যতীত এ সম্বন্ধে কিছু করিতে অপারগ তাহা হইলে আপনি স্যার আলেকজাণ্ডার মুডিম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারেন। এখানে থাকা অপেক্ষা আমি ইনসিন অথবা মান্দালয়, অন্য যে কোনও জেলে যাইতে প্রস্তুত আছি।
আশা করি, অধিবেশনের ব্যস্ততার মধ্যেও আপনার শরীর ও মন ভাল আছে। গভীর শ্রদ্ধা ও প্রণাম গ্রহণ করিবেন। ইতি—
সুভাষচন্দ্র বসু
দিল্লী
পুনঃ—রাজবন্দীদের সম্বন্ধে এসেম্ব্লিতে স্যার আলেকজাণ্ডারের বিবৃতি এবং বঙ্গীয় আইন সভায় গত ২১শে মার্চ্চ তারিখে প্রদত্ত মিঃ মোবার্লীর বক্তৃতার বিবরণ, রেঙ্গুনের পত্রিকাগুলিতে বাহির হইয়াছে। উহা আমি পাঠ করিয়াছি। স. চ. ব.
(ইংরাজী হইতে অনূদিত