পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/১২৪
পরম পূজনীয় মেজদাদা,
৬ই মে তারিখে আপনাকে শেষ পত্র লিখি। ঐ দিন ছোটদাদাকেও এক পত্র দিয়াছিলাম।
বর্ত্তমানে যেরূপ ব্যবস্থা স্থিরীকৃত হইয়াছে তাহাতে কাল অথবা বৃহস্পতিবার আলমোড়ার পথে কলিকাতা রওনা হওয়ার কথা। আমার বদলীর হুকুম আসিয়াছে; এবং আবহাওয়া প্রতিকূল না হইলে আগামী কালই যাত্রা করিব।
আপনি আমাকে এখন যোগাভ্যাস শুরু করিতে বারণ করিয়া যে তার করিয়াছিলেন, উহা ৬ তারিখে মেজর ফিণ্ডলে আমার নিকট পাঠাইয়া দিয়াছেন। পরদিন অর্থাৎ ৭ই মে আমি নিম্নলিখিত তারটি আপনাকে Intelligence বিভাগ মারফৎ পাঠাই—
“আপনার ৬ তারিখের টেলিগ্রাম পাইয়াছি। শ্রীযুক্ত দাশের পত্রের আশায় আছি। আলমোড়ায় বদলী করিয়াছে। মঙ্গলবার রওনা হইতেছি।”
কাল অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা হইল। বুকে যন্ত্রণা হইতেছিল খুব— দু’ ধারেই। ঘণ্টাখানেকের মত ছিল। দম বন্ধ হইয়া আসিবার জোগাড়। যতক্ষণ যন্ত্রণাটা ছিল ভীষণ অস্বস্তি বোধ করিতেছিলাম। পূর্ব্বে এ রকম তীব্র যন্ত্রণা আর কখনও অনুভব করি নাই।
আপনি এ পত্র পাইবার পূর্ব্বেই হয়তো আপনার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হইতে পারে।
অন্য কোনও সংবাদ না আসিলে ধরিয়া লইতে পারি যে আলমোড়া যাওয়াই স্থির আছে।
আশা করি সকলে ভাল আছেন। ইতি—
সুভাষ
৩৮/১, এলগিন রোড
(ইংরাজী হইতে অনূদিত)