পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/৩৭

৩৭
শুক্রবার
27-12-15

 আবার সেই December আসিয়াছে এবং সেই জানুয়ারী আসিতেছে। দুই বৎসর পূর্ব্বে আমরা এখন শান্তিপুরে। আর শান্তিপুরের সেই সন্ন্যাসীর দল ও তাহাদের মধুময় স্মৃতি।

 * * *

 ভারতের প্রায় সবই গিয়াছে বটে ভারতবাসী প্রায় অন্তঃসারবিহীন হইয়াছে “কিন্তু তা ব’লে ভাবনা করা চল্‌বে না”—তা বলে হতাশ হ’লে চল্‌বে না—ও যে কবি বলেছে—“আবার তোরা মানুষ হ,” হ্যাঁ, আবার মানুষ হইতে হইবে। ভারতের শ্যামলক্ষেত্রে এখন শ্মশানচারী ভূতগণের অস্থিসমন্বিত জীববিশেষ ভ্রমণ করিতেছে— চারিদিকে নৈরাশ্য—মৃত্যু, ভোগ-বিলাস, রোগ, শোকের কুরুক্ষেত্র— “কি ঘোর দুঃখরাশি ভারত গগন ব্যাপিয়া।” কিন্তু এই নৈরাশ্য—নিস্তব্ধতা—এই দুঃখ-দারিদ্র্য—অনশন-অর্দ্ধাশনের হাহাকার ও এই বিলাস-বিভবের আস্ফালন রব ভেদ করিয়া আবার ভারতের সেই জাতীয় গান গাহিতে হইবে। সেটা কি—উত্তিষ্ঠিত, জাগ্রত।