পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/৫১

৫১
কেম্ব্রিজ
৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ১৯২০

হেমন্ত,

 তোমার পত্র পেয়ে সুখী হইলাম। দেশের প্রায় সব কাজ এবং প্রধান মাসিকপত্র এখানে আসে। তবে পড়িবার সময় নাই—বন্ধুদের মুখে দেশের সব খবর শুনিতে পাই।

 প্রফুল্লের কথা শুনে সুখী হইলাম। সুহৃৎ nomination পেয়েছে—এটা কি পাকা খবর?

 * * *

 তোমার বিস্তৃত পত্র মনের মধ্যে আছে—কতকটা লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমার ইচ্ছা ছিল কতকটা ভ্রমণ বৃত্তান্তের মত করিতে। সমায়াভাবে আর আপাততঃ হয়ে উঠবে না।

 তুমি কত কাজ এক সঙ্গে ঘাড়ে নেবে? দোকান, শিক্ষকতা, অধ্যয়ন, নৈশবিদ্যালয়—আর কত কি। পরিণাম কি? অল্প সময়ের মধ্যে শরীর নষ্ট করে অকর্মণ্য হওয়া। আমাদের দেশের জলবায়ুর এমন দোষ যে moderation এবং enthusiasm-এর মধ্যে সামঞ্জস্য করিতে পারি না। যেখানে enthusiasm আছে সেখানে moderation নাই আর যেখানে moderation আছে সেখানে enthusiasm নাই—এবং প্রাণ নাই। তুমি নিজেকে হাজারই practical মনে কর—এ বিষয়ে practical হওয়ার শিক্ষা এখনও সমাপ্ত করিতে পার নাই।

 এখন কেমন আছ? আমি ভালই আছি। দত্তগুপ্তকে এখনও পত্র দিই নাই—বোধ হয় আসছে মেলে দিব।  ইতি—

সুভাষ