পর্ব্বতবাসিনী/একত্রিংশ পরিচ্ছেদ

একত্রিংশ পরিচ্ছেদ।

 মনুষ্যের জীবনের সহিত স্রোতস্বিনীর সাদৃশ্য দর্শিত হইয়া থাকে। তটিনী যেমন নানা দেশ বহিয়া যায়, মানুষের জীবন তেমনি বহুবিধ অবস্থায় পতিত হয়। নদীর পথ যেমন বক্র, মনুষ্যের জীবনপথ তেমনি জটিল। পথে কোথাও মরু, কোথাও কুসুমিত কানন, কখনও পাষাণভেদ করিয়া অন্ধকারে বহিতেছে, কোথাও সূর্য্যকিরণে তরঙ্গ তুলিয়া হাসিতেছে। পরিণামে সেই বিশাল সাগরসঙ্গম, কাল সমুদ্রের অতল গর্ভ। সেইজন্য জীবনকে তটিনী বলে।

 কখন অন্যরূপ প্রবাহিনী দেখিতে পাওয়া যায়। কোথাও কোন নির্ঝর কতদূর অন্ধকারে বহিয়া যায়, সূর্য্যের মুখ দেখিতে পায় না। অবশেষে প্রশান্ত নদীরূপে, সূর্য্যালোকে, শস্যশোভিত ক্ষেত্রের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হয়। কিছুদূর এইরূপে বহিয়া অকস্মাৎ অতি বেগে নিরবলম্ব পর্ব্বতপার্শ্ব দিয়া শত সহস্র হস্ত নীচে পতিত হয়। সে প্রশান্ত, আনন্দোদ্বেলিত মূর্ত্তি আর থাকে না, সে মধুর শান্তি ভয়ঙ্কর অশান্তিময় হইয়া উঠে।

 তারার জীবনতটিনী এতদিনের পর শান্ত মূর্ত্তি ধারণ করিল। এইবার প্রপাত সম্মুখে।

 গোকুলজীর সহিত বিবাহ হইলে তারার হৃদয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইল। ভাবিল, এতদিনের পর বুঝি দুঃখের অবসান হইয়াছে। গৌরীকে আপনার গৃহে আনিয়া তারা তাহাকে সহোদরার মত যত্ন করিতে লাগিল।

 এইরূপে কয়েক মাস গেল। কয়েক মাস পরে তারার সেই পূর্ণ সুখের মধ্যে একটা কিসের অপূর্ণতা প্রবেশ করিল। নির্ম্মল জ্যোৎস্নারাত্রে আকাশপ্রান্তে কোথায় যেন একটা মেঘ উঠিল। তারার সুখ হরণ করিবার জন্য অন্ধকার হইতে যেন একটা দীর্ঘ হস্ত প্রসারিত হইল। কোথায় কোন ছিদ্র পাইয়া নলের শরীরে কলি প্রবেশ করিল। তারার হৃদয়ে অজানিত দুঃখের অস্পষ্ট ছায়া পড়িল।

 একদিন রাত্রে তারা স্বামীর পার্শ্বে শয়িতাবস্থায় স্বপ্ন দেখিল।

 দেখিল, পর্ব্বতশৃঙ্গে সেই ভীষণাকৃতি পাষাণপুরুষ দণ্ডায়মান রহিয়াছে। নক্ষত্রকিরণ দীর্ঘ জটায় প্রতিঘাত করিতেছে, শুভ্র, নির্ণিমেষ চক্ষে প্রতিবিম্বিত হইতেছে। কটি, চরণ বেষ্টিত করিয়া জলদমালা ফিরিতেছে। চরণপার্শ্বে ইন্দ্রধনু শোভিতেছে, ক্ষণে উঠিতেছে, ক্ষণে মিলাইতেছে। মহাপুরুষ ঊর্দ্ধমুখে দণ্ডায়মান ছিল, ধীরে ধীরে তারার দিকে মুখ ফিরাইল। নক্ষত্রকিরণ তুষারচক্ষে প্রতিহত হইয়া তারার মুখের উপর আসিয়া পড়িল। তারাকে দেখিয়া মহাপুরুষ বিশাল ভ্রুযুগল কুঞ্চিত করিল। কাদম্বিনীকুল সন্ত্রস্ত হইয়া অন্ধকার পক্ষ বিস্তার করিয়া ঘুরিতে লাগিল, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকিল। তৎপরে মহাকায় পুরুষ দূরমেঘগর্জ্জনবৎ গম্ভীর স্বরে তারাকে কহিল, “যখন লোকালয়ে তোর স্থান হয় নাই, তখন আমি তোকে আশ্রয় দিয়াছিলাম। যখন মানুষে তোকে দূরে নিক্ষেপ করিয়াছিল, তখন আমি তোকে ক্রোড়ে তুলিয়া লইয়াছিলাম। পাপিয়সি, মানুষি তুই, তুই সে উপকার বিস্মৃত হইয়াছিস্। আমি বলিয়াছিলাম গোকুলজীকে দিয়া তোর অমঙ্গল হইবে, তুই গোকুলজীকে পরিত্যাগ কর্। তুই তাহা পারিলি না, আবার গোকুলজীকে হৃদয়ে গ্রহণ করিয়াছিস্। আমার কথা মিথ্যা হইবে? দেখ, আমি এই পর্ব্বতের অধিষ্ঠিত দেবতা। যে দিন আমি মিথ্যা বলিব, সে দিন এই পর্ব্বত বিদীর্ণ হইয়া ভূমিসাৎ হইবে। এখন কি তুই সুখে আছিস্? তোর সুখ কোথায়?

 তারা চক্ষু মুদ্রিত করিল। গম্ভীর বাণী নীরব হইল। তারার হৃদয়ে বারবার প্রতিধ্বনি উঠিতে লাগিল, সুখ কোথায়?

 আবার দূরে মেঘ গর্জ্জিল। তারার শ্রবণে শব্দ পশিল, চাহিয়া দেখ্!

 তারা চাহিয়া দেখিল। পাষাণপুরুষের চরণতলে সপ্ত পাষাণকন্যা ক্রীড়া করিতেছে, শুভ্র মেঘমালা তাহাদিগকে প্রদক্ষিণ করিতেছে। কেহ হাসিতেছে, কেহ গান করিতেছে, কেহ মুক্তকেশ দোলাইতেছে,— শুভ্র মেঘে যেন কৃষ্ণ সৌদামিনী খেলিতেছে। কাহারও মস্তকে ইন্দ্রধনু মুকুটের মত শোভিতেছে। কেহ প্রস্তরখণ্ড নীচে নিক্ষেপ করিয়া তাহার পশ্চাৎ চাহিয়া দেখিতেছে। একজন তারাকে দেখিতে পাইয়া অপর সকলকে ইঙ্গিত করিল। সকলে মিলিয়া তুষারশুভ্র অঙ্গুলি দিয়া তারাকে ডাকিতে লাগিল। তাহার পর সর্ব্বকণিষ্ঠা দূরবংশীধ্বনিসম স্বরে তারাকে কহিল,

 আমরা সাত ভগিনী, পিতা বলিয়াছেন, আমাদের আর এক ভগিনী আসিবে। তুমি সেই ভগিনী। মানুষের ঘরে জন্মিলে কি হয়? আমরা তোমাকে ছাড়িব না, তুমি আমাদের ছাড়িতে পারিবে না। একবার আমরা মনে করিয়াছিলাম তুমি বুঝি যথার্থই মানবী, সেইজন্য তোমাকে ভয় দেখাইয়াছিলাম। সে কথা তুমি ভুলিয়া যাও। তুমি যখন পর্ব্বতে একাকিনী বাস করিতে তখন আমরা তোমায় রক্ষা করিতাম। তুমি আমাদের ভগিনী, আমাদের নিকটে এস। এখানে সুখদুঃখ নাই, শীত গ্রীষ্ম নাই, প্রণয়পাপ নাই। এস, আমাদের সঙ্গিনী হইবে!

 তারা আবার চক্ষু মুদিল। বায়ুভরে মধুর কণ্ঠধ্বনি আন্দোলিত হইয়া ধীরে ধীরে মিশাইয়া গেল। পূর্ব্বে তারা এই সপ্তকন্যাকে দেখিয়া ভীত হইয়াছিল। এখন তাহার চিত্ত আকৃষ্ট হইল। সুমধুর কণ্ঠস্বর তাহার কর্ণে লাগিয়া রহিল। কিছুক্ষণ পরে সমীরণতরঙ্গে আবার অমৃতময় শব্দ ভাসিয়া আসিল, দেখ! দেখ!

 চক্ষু মেলিয়া তারা দেখিল, সপ্তসুন্দরী পাষাণপুরুষকে ঘিরিয়া হাত ধরাধরি করিয়া দাঁড়াইয়াছে। হাত ধরাধরি করিয়া তাহারা ঘুরিতে লাগিল, সেই সঙ্গে মেঘ ও ইন্দ্রধনু ঘুরিতে লাগিল। ঘুরিতে ঘুরিতে তাহারা পর্ব্বতশৃঙ্গ ছাড়াইয়া শূন্যে উঠিতে লাগিল। পাষাণপুরুষও সেই সময়ে ধীরে ধীরে ঊর্দ্ধে উত্থিত হইল। তুষারচক্ষু রমণীগণ হাসিতে হাসিতে তারাকে ডাকিতে লাগিল, আয়! আয়! ক্রমে তাহারা মেঘ ছাড়াইয়া, নীলাকাশ ভেদ করিয়া, ঊর্দ্ধে উঠিতে লাগিল, আর দূরকণ্ঠে আকাশ পূরিয়া ডাকিতে লাগিল, আয়! আয়! অপ্সরাকণ্ঠ, বেণুরবনিন্দিত কণ্ঠধ্বনির সহিত মধ্যে মধ্যে জলদগম্ভীর স্বরে শব্দ হইতে লাগিল, আয়! আয়! ক্রমে শব্দমাত্র রহিল, পাষাণপুরুষ ও পাষাণ কন্যাগণ নক্ষত্রালোকে অন্তর্হিত হইল।

 তারা কণ্টক্তি গাত্রে অস্ফুট চীৎকার করিয়া জাগরিত হইল। গোকুলজী সজাগ ছিল, অস্ফুট চীৎকার শুনিয়া অত্যন্ত ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞাসা করিল, তারা ভয় পাইয়াছ?

 প্রথমবার জিজ্ঞাসা করাতে তারা শুনিতে পাইল না, দ্বিতীয়বারে উত্তর করিল, না, ভয় পাই নাই। একটা দুঃস্বপ্ন দেখিতেছিলাম।

 গোকুলজী জিজ্ঞাসা করিল, কি স্বপ্ন দেখিতেছিলে?

 তারা বলিল, আমি তাহা বলিব না। তুমি আমায় জিজ্ঞাসা করিও না।

 গোকুলজী মনে করিল, তারা স্বপ্নে পিতাকে দেখিয়া ভয় পাইয়া থাকিবে, এইজন্য কিছু বলিতেছে না। এই ভাবিয়া আর জিজ্ঞাসা করিল না।

 সে স্বপ্ন তারা আর ভুলিতে পারিল না। জাগ্রতে শব্দ শুনিতে লাগিল, আয়! আয়! একদিন তারা গোকুলজীকে কহিল, চল, একবার পাহাড়ে যাই।

 গোকুলজী হাসিয়া কহিল, তুমি যে পাহাড়ের মায়া ছাড়িতে পার না, দেখিতে পাই। পর্ব্বতবাসের সাধ কি এখনো মেটে নাই?

 তারা বলিল, না, সে জন্য নয়। যেখানে এতদিন ছিলাম সেখানে আর একবার যাইতে ইচ্ছা করে। আমার সে কুটীর তোমার দেখিতে ইচ্ছা হয় না কি?

 গোকুলজী নিরুত্তর হইল। তারা স্বামীকে কহিল, আমরা দুইজনে যাইব, আর কাহাকেও সঙ্গে লইব না। গোকুলজী স্বীকৃত হইল।

 পর্ব্বতে উঠিবার সময় গোকুলজী বলিল, মনে পড়ে? এই স্থানে তোমায় দেখিয়াছিলাম?

 তারা স্বামীর মুখে প্রেমপূর্ণ চক্ষু স্থাপিত করিয়া কহিল, মনে নাই? সেই তোমার স্ত্রীর কথা জিজ্ঞাসা করিলাম।

 গোকুলজী হাসিতে লাগিল। কহিল, তখন ত ঘরে স্ত্রী ছিল না যে আমার জন্য ভাবিবে। এখন ভাবিবার লোক হইয়াছে। কিন্তু তখন ভাবিবার আর একজন ছিল, সে আর এখন নাই।

 এই কথা বলিতে বলিতে গোকুলজী দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিল। তারা গোকুলজীর বিষাদের কারণ বুঝিতে পারিয়া আর কোন কথা কহিল না। দুইজনে নিঃশব্দে পাশাপাশি চলিতে লাগিল।

 তারার কুটীরে পঁহুছিতে বেলা প্রথম প্রহর উত্তীর্ণ হইল। সন্ধ্যার পূর্ব্বে গৃহে ফিরিয়া আসিবার কথা।

 কুটীরে প্রবেশ করিয়া গোকুলজী কহিল, তারা, তুমি বিনা সাহায্যে এ গৃহ কিরূপে নির্ম্মাণ করিলে?

 তারা হাসিয়া কহিল, তখন দাঁড়াইবার একটা স্থান ছিল না, গৃহ নির্ম্মাণ না করিলে থাকি কোথা? আকাশের পাখী বাসা বাঁধিতে পারে, আর মানুষ একা একটা ঘর নির্ম্মাণ করিতে পারে না?

 কিছুকাল বিশ্রামের পর তারা আবার কহিল, আমার এই গৃহে আজ তোমার নিমন্ত্রণ। একদিন তুমি এখানে আহার কর নাই। আজ খাইতে হইবে। আমি ফল আহরণ করিব।

 গোকুলজী তারার হাত ধরিয়া কহিল, সে সময়ের অপরাধ কি এখনো ভুলিতে পার নাই?

 তারা। তুমি আমার সর্ব্বস্ব। পূর্ব্ব কথা তুলিলে তুমি আপনাকে অপরাধী মনে করিও না। তোমাকে পাইয়াই আমার সুখ। আমার নিকটে তুমি অপরাধী?

 এইরূপে দুইজনে অনেক কথা হইল। সেই শব্দহীন স্থানে প্রেমের মৃদু মৃদু কথা হইতে লাগিল। সে স্থানে কাহারও চীৎকার করিতে ইচ্ছা হয় না, উচ্চ স্বরে কথা কহিতে সাহস হয় না। দম্পতী যুগল মৃদু গম্ভীর স্বরে পূর্ব্ব স্মৃতি জাগরিত করিল।

 কতক্ষণ পরে তারা উঠিয়া দাঁড়াইল, কহিল, তুমি একটু বস, আমি ফল আহরণ করিয়া লইয়া আসি।

 গোকুলজী উঠিয়া, তারাকে বক্ষে ধরিয়া কহিল, তোমাকে একেলা যাইতে দিব না। আমি তোমার সঙ্গে যাইব।

 তারা কহিল, না, তাহা হইবে না। তুমি এইখানে আমার অপেক্ষা কর। আমি শীঘ্রই ফিরিয়া আসিব। আমার এ অনুরোধ রাখিতে হইবে। তুমি আমার সঙ্গে আসিও না।

 গোকুলজী অনেক পীড়াপীড়ি করিল, তারা কিছুতে শুনিল না। অগত্যা গোকুলজী কুটীরে রহিল, তারা ফল আহরণে বাহিরে গেল।

 তারা বাহিরে আসিয়া দেখিল, আকাশে দুই খানি কালো মেঘ রহিয়াছে, তাহাতে দুর্য্যোগের কোন আশঙ্কা নাই; বিশেষ তখন শীতকাল, সে সময়ে ঝড়বৃষ্টি প্রায় হয় না। তারা নির্ভয়ে চলিতে লাগিল। যে দিকে ফলমূল পাওয়া যায়, সেই দিকে চলিল।

 অকস্মাৎ একখণ্ড কৃষ্ণমেঘে সূর্য্য আবৃত করিল। তারা রোমাঞ্চিত কলেবরে শব্দ শুনিল, আয়, আয়! ফিরিয়া দেখিল, অতিদূরে শিখরশৃঙ্গে কৃষ্ণকার প্রকাণ্ড মূর্ত্তি দণ্ডায়মান রহিয়াছে। তারা কাঁপিতে লাগিল। তাহার শ্রবণে গম্ভীর, গম্ভীরতর শব্দ পশিতে লাগিল, আয়! আয়! পরিশেষে সহস্র মেঘগর্জ্জন তুল্য ধ্বনি গর্জ্জিতে লাগিল, আয়, আয়! তারার সম্পূর্ণ আত্ম বিস্মৃতি হইল। যে দিকে পাষাণদেবতার মূর্ত্তি দেখিল, সেইদিকে অস্থির গতিতে অগ্রসর হইল। সে পথ অত্যন্ত দুর্গম এবং পিচ্ছিল।

 তারার পশ্চাতে ঝটিকা গর্জ্জিতেছিল। সে গর্জ্জন সে শুনিতে পাইল না। কম্পান্বিত কলেবরে মহাকায় পুরুষের অভিমুখে চলিল। শিলাচূর্ণ সর্ব্বাঙ্গে আঘাত করিতে লাগিল, তবু সে ফিরিল না। কিছু দূর গিয়া সহসা তাহার পদস্খলন হইল। ঝটিকার তীব্রকণ্ঠের সহিত অতি বিকট চীৎকার মিশাইয়া গেল।

 গোকুলজী, তারার বিলম্ব হইতেছে দেখিয়া তাহার অন্বেষণে বাহির হইল। বাহিরে আসিয়া দেখিল, আকাশে মেঘ উঠিতেছে। দেখিতে দেখিতে অন্ধকার করিয়া ঝটিকা বহিল। গোকুলজী অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হইয়া দ্রুতপদে ইতস্ততঃ তারার অন্বেষণ করিতে লাগিল, এবং উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে লাগিল তারা! তারা! অনেক দূর দ্রুতগমনে গিয়া, গোকুলজী অতি বিকট চীৎকার শুনিতে পাইল। অমনি মূর্চ্ছিত হইয়া পর্ব্বতপৃষ্ঠে পতিত হ‍ইল।

 যে মৃত্যুমুখ হইতে তারা গোকুলজীকে রক্ষা করিয়াছিল, স্বয়ং সেই মৃত্যুমুখে নিপতিত হইল। গোকুলজী মৃতের মত পতিত রহিল।

 উভয়ের বধির শ্রবণে ঝটিকা গর্জ্জিতে লাগিল।








সমাপ্ত।