প্রাণাধিকা প্রাণেশ্বরী তারও সনে যুদ্ধ করি,
সেও শত্রুসেনা এক জন!
শত তপস্যার ফল এই শিশু সুকোমল,
এ-ও এক যোদ্ধা বিচক্ষণ!"
"হের, এ প্রণবে, সতী,
স্তম্ভিত ব্রহ্মাণ্ড-গতি;
দূর বিষ্ণুলোক হ'তে
আশীর্ব্বাদ আসে স্রোতে,
ঝর ঝর সপ্ত স্বর্গ, ঝরে শির'পর।
ক্ষুদ্র নয়, তুচ্ছ নয় নর।”
ইহা ইহলোক-পরলোকের সন্বন্ধ-বিশ্বাসী হিন্দুর কথা। প্রাণের দুর্ব্বার বেগে বড়ালকবি ঘর হইতে বাহির হইয়াছেন।
তারপর—
"এস তবে এস ভবে,
সত্যই কৃতার্থ হবে;
এ বিকচ তনু-মন
বিধাতার ধ্যেয় ধন—
দেবাসুর রণক্ষেত্র, সর্ব্বতীর্থ—সার;
উপযুক্ত আসন তোমার।”
কবির সুর এখানে উচ্চ গ্রামে পৌঁছিয়াছে— “যাহা আমার অভিমান ও আমিত্বের আকর, যাহা পাপাসুর ও পুণ্য-দেবতার রণভূমি— এক কথায় যাহা আমার সর্ব্বতীর্থের সারস্বরূপ সেই তনু-মনকে তোমার উপযুক্ত আসন করিয়া দিতেছি।”
তারপর—
” এল, ভেদি'/ব্রহ্মরন্ধ্র,
হে আনন্দ—ভূমানন্দ!
উৎপাটিয়া মর্ম্মস্থল
সদ্যঃ-রক্তে ঝল—ঝল—