শখ ঃ পূজার পর ey ধরণীর সবর্ব শোভা করি আহরণ গড়েছে প্রকৃতি তব অপূর্ব্ব গঠন। এ কুসুমে সুধা দিতে বিধি দয়াময় নিঙ্গাড়িয়া দিয়াছেন স্বর্গ সমুদয়। থাকিলে সহস্র প্রাণ দিতাম হেলায়— ধর—ধর, ঝুকিতেছে ভাঙ্গ জানালায়। আশীর্ব্বাদ করি, বৎস, যেন চিরদিন এমনি সরল থাক, এমনি নবীন! বিধাতার আশীর্ব্বাদ, পিতৃবাহু সম, চিরদিন আগুলিয়া রাখে, প্রিয়তম। পাপ-তাপ দূর করি’ চির-পুণ্য-আলো— আমি বলি হাত ফুটে বেঁধে রাখা ভালো। ধনে হও যক্ষরাজ, দাতাকর্ণ দানে, বলে হও ভীমাৰ্জ্জুন, বেদব্যাস জ্ঞানে; স্বদেশ-সহায় হও, হও পুণ্যশ্লোক, ধরণী তোমার নামে চির-ধন্ত হোক। ওগো, খাতাখান গেছে, কালি দেছে ফেলে’, লিখিতে পারি না, তুমি নিয়ে নাহি গেলে। পুজার পর কোন মতে ভাঙ্গ ঢোল করি আণহরণ, সন্ধ্যায়, আহার-অস্তে, বীরমদে মাতি, হলাল, লইয়া লাঠী, ফুলাইয়া ছাতি, খুকীরে গর্জিয় বলে,—‘আরে হরাত্মন। ভীরু কন্যা বলে,—‘দাদা, নাহি চাহি রণ—" ভয়ে শুষ্ক-মুখে বসে ভুমে জামু পাতি; তথাপি নিস্তার নাই, ভুমে মারি’ লাথি, বলে পুল,—মোর হস্তে নিশ্চয় নিধন।”
পাতা:অক্ষয়কুমার বড়াল গ্রন্থাবলী.djvu/২৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।