পাতা:অক্ষয়কুমার বড়াল গ্রন্থাবলী.djvu/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক আছি শূন্যে চেয়ে—এ শূন্ত ধরায়। সে-ই নাই, হায়। নাই সে উষার হাসি— প্রভাত-আনন্দরাশি! নাই সে সন্ধ্যার তারা—বিশ্রাম-আঞ্জয়। নাই সে জীবন-মায়া— মধ্যাহ্ন-বকুল-ছায়া। কোলে সে সেতার নাই, দেহে সে হৃদয়। বহিতেছে সেই বায়— চমকিয়া পায় পায় ফুলের সুবাস মত কেহ নাহি আসে। ফুটিতেছে সেই শশী— জ্যোৎস্না মত খসি খসি’ গায়ে পড়ে—বুকে পড়ে কেহ নাহি হাসে। সেই উপবন-গায় সে তটিনী বহে যায়, সে প্রমোদ-তরী আর ভেসে না বেড়ায়। লতা-ফাকে, তরু-কোলে সে জ্যোৎস্ন। নাহি দোলে। পথে পড়ে। ফুলরাশি–কে দলিয়া যায়। সে শয়ন-গৃহ এই, গৃহে সে আলোক নেই, আলোকে সে খেলা নেই, খেলায় সে টান। পান্সঙ্কের আশে-পাশে সে হাসি আর না ভাসে— যবনিকা-অস্তরালে সে মুগ্ধ নয়ান।