भषॆ! कंठेiझ बिंदींश्। মায়ের আমার কতই আশা ফুটুত নিত্য আমায় হেরে’— সকল দুঃখে আড়াল দিয়ে, জীবনখানি ছিলেন ঘেরে। হাতটা স্নেহে দিতেন মাথায়, কতই স্বস্তি অধীর শ্বাসে, সদাই যেন হারান-হারান, কি হয়—কি হয় ব্যাকুল ত্রাসে। আমায় রেখে যাবেন কিসে, ভেবে’ হ’তেন পাগল-পার।; ঠাকুর-ঘরে পড়ে পড়ে, কেঁদে কেঁদেই হ’তেন সারা। ছিল আমার ছখের ঘরে—সুখের চির-মধুর হাসি, সরল লজ্জা, কোমল ব্যঙ্গ, গভীর ভালবাসা-বাসি। নিত্য নূতন কতই যতন, কতই সোহাগ, সাধা-সাধি। হাসির ঢেউয়ে তুলছে হৃদয়, বাইরে তবু কাদার্কাদি। সব কথাটা বলতে গিয়ে আধেক কথায় থেমে যাওয়া; হারিয়ে দিয়ে কেঁদে আকুল, হেরে গিয়ে হেসে চাওয়া। তোমার মতন কেউ রে বাছ, ঢেউয়ের মতন আসে নাই— কুল-কিনার ভাসিয়ে দিয়ে কেউ রে এমন হাসে নাই। আলো-মাখ বৃষ্টির মতন কেউ রে এমন কাদে নাই। মালার মতন শতেক পাকে কেউ রে এমন বাধে নাই। জ্যোৎস্নার মতন ভাঙ্গন ঢেকে কেউ রে বুকে দোলে নাই। উষার মতন নয়ন মেলে’ স্বপন-জগৎ খোলে নাই। কন্যার বিবাহে ছিলি আমাদের মেয়ে, আমাদের মুখ চেয়ে, একান্ত আপন; আমাদের কোলে কঁাখে, আমাদের বাহু-পাকে জড়ায়ে জীবন। দেছি পূর্ণ দশ বর্ষ স্নেহ, যত্ন, মুখ, হর্ষ, আদর, সোহাগ; আমাদের যাহা শুভ, যাহা সত্য, যাহা ধ্রুব, மு. যাহা পুণ্যভাগ।
পাতা:অক্ষয়কুমার বড়াল গ্রন্থাবলী.djvu/২৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।