এবং সম্পাদকীয় ভূমিকা l/e ‘এৰা অক্ষয়কুমারের শেষ রচনা। এই 'এবা রচনার পূর্ব্বে, তিনি ৰে সমস্ত শোকের কবিতা লিখিয়াছিলেন, তারা ইহা জানিতে পারি যে, শোককবিতা রচনায় কৰি দক্ষ ছিলেন। তাছার শখের “পিতৃহীন” “মাতৃহীন" “বালবিধৰা” প্রভৃতি কবিতায় ইহার পরিচয় পাই। র্তাহার যে প্রতিভা এই কবিতাগুলির ভিতর দিয়া ফুটিবার চেষ্টা করিতেছিল, “এযায় তাহা একেবারে পূর্ণবিকশিত হইয়াছে। শোকের নিদারুণ আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি কবিরচিত শোককাব্য পাঠ করিলে র্তাহার হৃদয়নিহিত শোকের লাঘব হয়, এ শ্রেণীর লোকের শোক-ক্ষতে ‘এবা’ শাস্তি-প্রলেপ প্রদান করিবে। এষা’র মধ্যে অক্ষয়কুমারের স্বাতন্ত্রা, কবিত্ব, প্রতিভা, অন্তদৃষ্টি, ভাব-বিশ্লেষণ-শক্তি পূর্ণমাত্রায় পরিস্ফুট হইয়াছে। এষা" রচনা করিতে বসিয়া তিনি কোথাও ভাষা বা ভাবের অপব্যবহার করেন নাই, অতিরঞ্জিত দোষে 'এযা’র কোন কবিতা দুষ্ট হয় নাই। বাস্তৰ জগতের ঘটনাবলীর মধ্য দিয়াই তিনি ধীরে ধীরে তাহার চরম বক্তব্যের সন্নিকটে উপস্থিত হইয়াছেন। ‘এষা’র কবিতার প্রথম ও প্রধান বিশেষত্ব—যাহার শোকে তিনি মুহমান তাহার ছবি ইহার মধ্যে কবি পূর্ণভাবে ফুটাইয়া তুলিতে সমর্থ श्हेभ्रॉ८छ्ञ l••• ঘটনা ও ভাবের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখিয়া, “এযা’র কবিতাগুলি পরে পরে সাজান হইয়াছে। অক্ষয়কুমার শোকের উন্মত্ত আবর্তের মধ্যে পড়িয়া, কোথাও খে’ই হারান নাই। মৃত্যু, অশৌচ, শোক, ও সান্ধনী—এই চারি অধ্যায়ে এবার কবিতাগুলি বিভক্ত হইয়াছে। মৃত্যু, অশৌচ ও শোকের সোপানাবলী, একে একে অতিক্রম করিয়া, তিনি সাত্মনার নিকেতনে পৌছিয়াছেন। এই স্তরবিন্যাসের পরতে পরতে, পরলোকবিশ্বাসী হিন্দুর পরিচয় পরিস্ফুট হইয়াছে,—আর সঙ্গে সঙ্গে এই শোকবেষ্টনীর মধ্যে, তাহার গৃহের নিষ্ঠ ও ভক্তি-দৃপ্ত ছবিখানি উজ্জল হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। প্রথমেই মৃত্যু আধ্যায়ে, পত্নীর অস্তিম-দশ-দৰ্শন-ভীতা কন্যার প্রশ্ন, ও পিতার উত্তর; তারপর পুত্রমঙ্গল-সংবাদ-শ্রবণ-তৃপ্ত জননীর শাস্তিপূর্ণ মৃত্যু, মৃত্যু-সন্দেহ ও ব্যাকুলতা; ইহার পরেই একটা কঠিন সমস্ত কবি-হৃদয়কে আলোড়িত ও ৰিক্ষোভিত করিল,— “মরণে কি মরে প্রেম! অনলে কি পুড়ে প্রাণ? বাতাসে কি মিশে গেল, সে নীরব আত্মজান?” ৰন্থপরে “সাম্বনা”র অধ্যায়ে কবি নিজেই এ সমস্যার স্বন্দর সমাধান बाहेिकांव्झमः—
পাতা:অক্ষয়কুমার বড়াল গ্রন্থাবলী.djvu/২৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।