অক্ষয়কুমার বড়াল-গ্রন্থাবলী কতু ধীরে অঙ্ক ঝরে, কভু চায় পরস্পরে, কতু ছ’ জনার চক্ষু মুছায় ছ’ জনে। চঞ্চল অবোধ শিশু হতেছে চঞ্চল, চারি দিকে চায়; সবাই কঁাদিছে কেন? ভয়ে সে আড়ষ্ট যেন, বারেক উঠিতে পেলে ছুটিয়া পলায়। উজাড়ি’ সমস্ত গৃহ আনিছেন মাত, কিসে স্বর্গ পায়। কতু কঁাদি উচ্চরোলে করেন আমারে কোলে, বলেন র্কাদিয়া কভু,—“তীর্থে রেখে আয়? ‘যে জীব-অনল-দগ্ধ,—’ পড়ে পুরোহিত, কণ্ঠ শোকাকুল,— তাহারি তৃপ্তির তরে দিতেছি যতন-ভরে তৈজস, তণ্ডুল, শয্যা, বস্ত্র, ফল, ফুল। কি আদেয় তারে আজ। তেমনি হাসিয়া সে কি ল’বে আর? সমস্ত জগৎ দিলে যদি তার দেখা মিলে। সমস্ত জীবন যদি চাহে একবার! পিতা নাই, মাত নাই, পতি-পুত্র নাই, অতি অসহায়— সকল বন্ধন ছি ড়ে একাকিনী কোথা ফিরে— অনলে, অনিলে, শূন্তে, কোথায়—কোথায়! কোথায় ক্ষরিছে মধু, কোথা বিশ্বদেব, কোথা প্রেতপুরী। আমি আজ ধরাতলে, সভক্তি নয়ন-জলে, মাগিতেছি মুক্তি তার, হুই কর জুড়ি।
পাতা:অক্ষয়কুমার বড়াল গ্রন্থাবলী.djvu/৩৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।