এবী ৪ শোক ভালবাসি বুক পুরে’, তবু—তার দূরে দূরে। প্রাণ ভরে তেমন না হাসে, ঘুমায়ে—ঘুমায়ে তারে খোজে আশে-পাশে। বক-বকি ঘুষা-ঘুষি— আমি যদি কভু রুষি, এক জোটে সবে ওঠে কাদি’। আমি শেষে অপরাধী—জনে জনে সাধি।
- >
সুপ্ত গ্রাম। দ্বিপ্রহরা আমা-নিশীথিনী, দৃঢ় আলিঙ্গনে তার মূৰ্চিছত মেদিনী। পথ ঘাট নদী মাঠ অরণ্য প্রান্তর অভেদে মিশিয়া গেছে—কত দূরান্তর। আলোকে ভুলোকে যেন ছিলাম হারায়ে, আঁধারে আমারে পুনঃ পেতেছি কুড়ায়ে। মৃছ-গতি হৃৎপিণ্ড, শিথিল শরীর; হৃদয় বাসনা-হীন, উদাস, গম্ভীর। জন্ম মৃত্যু, ধর্ম্মাধর্ম্ম, কত মনে হয়,— কি ভীষণ নর-ভাগ্য—চির-নিরাশ্রয়। কাতর-অন্তরে ভয়ে ভাবি বারংবার,— কোথা জীবনের শেষ—সমাপ্তি আমার। বৃথা কুটবুদ্ধি, তর্ক, জ্ঞান-অভিমান। কারণ-সাগরে সুপ্ত পুরুষ-প্রধান; জন্মিল স্বয়ম্ভূ-হৃদে স্থষ্টির কল্পনা, কেমনে—কখন—কেন, হয় না ধারণা। কল্পনার পরিণতি—জন্মিল শকতি, নাহি জানি,—অন্ধ কিংবা সংবেদ-সংহতি। ●*