অক্ষয়কুমার বড়াল-গ্রন্থাবলী &> “সন্ধ্য সমাগত হেরি’, মাত্র অৰ্দ্ধ সেন নিয়া, পলাইল মানসিংহ অরণ্য-আঁধার দিয়া। বাজিল বিজয়-বাদ্য—মুরজ, বাঝর, ঝাঝ। প্রতাপে রঘুরে চাহি কহিলেন মহারাজ,— “এই ভাগ্য—বীরভাগ্য—চাহে বীর প্রতিদিন, স্বৰ্গ যার কাছে তুচ্ছ, কাল যার পদে লীন।” আহতে পাঠায়ে গৃহে, দাহ করি মৃত-জনে, স্থানে স্থানে রাখি।” রক্ষী, গেল। সবে ফুল্পমনে।” २९ উঠিল কেশব ভট্ট করি? জয়-জয়-নাদ– “জনম-ভূমির তরে কার না মরিতে সাধ? দিয়া এই তুচ্ছ দেহ, দিয়া এই তুচ্ছ প্রাণ—” গজিয়া উঠিল সঙ্ঘ,—“রাখিব মায়ের মান।” কহিল নগরপাল,—“বৃথা তুঃখ, বৃথা শোক। ভাঙ্গিছে—ভাঙ্গুক বক্ষঃ, প্রতিজ্ঞ। সুদৃঢ় হোক। কত দূরে মানসিংহ–কত দূরে কচুরায়? বল বৎস, শীজ বল, সময় বহিয়া যায়।” ২৩ “তৃতীয় দিবস-যুদ্ধে পদ্মব্যুহ বিরচিয়া, যশোর-প্রাস্তরে অসি’ অৰ্দ্ধলক্ষ সেনা নিয়া দাড়াইল মানসিংহ; কচুরায় পুরোভাগে। নির্ম্মেঘ গগনে সুর্য্য উদিতেছে রক্তরাগে। রচিলেন মহারাজ সূচীবুল্লাহ তীক্ষুমুখ,— মুখে রুড, পরে সূর্য্য; পশ্চাতে মদন, সুখ। কুমারে রাখিয়া পার্শ্বে, বসি’ রুদ্রকাস্ত’পরি, গজিলেন মহারাজ,—“জয় মা যশোরেশ্বরি ”
পাতা:অক্ষয়কুমার বড়াল গ্রন্থাবলী.djvu/৪৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।