এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
হৃদয়ের প্রতি স্তরে ভ্রমিয়া কৌতুক-ভরে,
আশা সাধ মায়া তৃষা দু'দন্ডে পড়িয়া— সারাটা জীবন মম, পঠিত গ্রন্থ সম, ফেলে' দিলে তৃপ্ত হ'য়ে, তাচ্ছল্য করিয়া।
নীলাকাশে শশী রবি—অতি পুরাতন ছবি, বিস্ময়ে না হেরে আর মানব-নয়ন; অন্ধকারে খনি-তলে ক্ষুদ্র মণি-কণা জ্বলে, ক্ষুদ্রত্ব ভুলিয়া তার দুষ্প্রাপ্য যতন!
কল্পনায় মূর্ত্তি এঁকে', অথবা চকিতে দেখে' আমরণ ভক্তি-ভরে পারি পূজিবারে! পারি—কৃষকের মত ছুটিবারে অবিরত ইন্দ্রধনু পিছে পিছে যেতে স্বর্গদ্বারে!
৬ শত ফেরে প্রাণ বাঁধি' আমি একা বসে কাঁদি— মঙ্গলে সংশয়—এ যে সর্ব্ব-পাপ-মূল! নগ্ন প্রাণে, নগ্ন দেহে শিশু আসে ভব-গেহে; কেন রবি মুগ্ধ-নেত্র, ধরা স্নেহাকুল!
দিবা-শেষে অন্ধকার, উপভোগে শ্রান্তি-ভার, পূজা শেষে বিসর্জ্জন জগৎ-নিয়ম; প্রণয় জগদতীত, যত দাও—নহে প্রীত, দাও, দাও, দাও সদা, নাহি ধারা ক্রম।
যত জ্যোৎস্না ঝরে' পড়ে তত চাঁদ শভা ধরে; বিলালে ছড়ালে প্রেম কোটি গুণ বাড়ে! নায়ক মশানে যায়—তবু প্রিয়া-গুণ গায়; মৃতদেহ পচে' যায়—নায়িকা না ছাড়ে!