গ্রন্থাবলী-আকারে কবি অক্ষয়কুমার বড়ালের যতদুর-সম্ভব-সম্পুর্ণ কাব্য ও কবিতার মুদ্রণ সমাপ্ত হইল।
ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষৎ-প্রকাশিত “সাহিত্য-সাধক-চরিত-মালা"র ৫৬ সংখ্যক গ্রন্থ্ 'অক্ষয়কুমার বড়ালে' কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী দিয়াছেন। শ্রীনরেন্দ্রনাথ লাহা প্রণীত 'সুবর্ণবণিক কথা ও কীর্তি' গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে (১৯৪০) ৮০-১০৬ পৃষ্ঠায় কবির জীবনী ও কাব্য-প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন। ইহাতে এবং ১৩২৬ বঙ্গাব্দের 'সুবর্ণবণিক সমাচারে', “সাহিত্য-সাধক-চরিত-মালা"র অতিরিক্ত যে সংবাদ পাওয়া যায় তাহা এইঃ ১৮৬০ খ্রীষ্টাব্দে কলিকাতার চোরবাগানস্থ শ্রীনাথ রায়ের গলির ৯ন্ং বাড়িতে অক্ষয়কুমারের জন্ম হয়। মাতার নাম রাণী দাসী। পাঠদ্দশায় ১৭ বৎসর বয়সে তিনি কবি বিহারিলাল চক্রবর্তীর সংস্পর্শে আসেন ও শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তাঁহার স্ত্রী ছিলেন জোড়াসাঁকোর দত্ত পরিবারের সুবাসিনী দাসী। ২৫ বৎসর বয়সে পিতৃবিয়োগ ও ১৩১৩ সালের ১৯শে মাঘ তাঁহার পত্নীবিয়োগ হয়। তিনি “চণ্ডীদাস” নামক একখানি নাটক রচনা করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহা শেষ হয় নাই। মৃত্যুর কয়েকমাস পূর্বে শ্রীশ্রীবঙ্গধর্ম মহামণ্ডল তাঁহাকে “কবিতিলক” উপাধিতে ভূষিত করেন। ৪ আষাঢ় ১৩২৬ বৃহস্পতিবার রাত্রি ৯টা ১০ মিনিটে তাঁহার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁহার দুই পুত্র অজয়কুমার ও অময়কুমার এবং তিন কন্যা জীবিত ছিলেন।
অক্ষয়কুমারের কবি-প্রতিভা সম্পর্কে বেশি আলোচনা হয় নাই। বিভিন্ন মনীষী তাঁহার বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থের ভূমিকাসরূপ যে সকল আলোচনা করিয়াছেন তাহা এই গ্রন্থাবলীতেও সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। কবির মৃত্যুর পর বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের স্মরণসভায় (৪ আশ্বিন, ১৩২৬) মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রমুখ বিদ্বজ্জন কিছু আলোচনা করিয়াছিলেন ও শ্রীনরেন্দ্রনাথ লাহা একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন। এই প্রবন্ধটিই সম্পাদিত হইয়া 'সুবর্ণবণিক কথা ও কীর্তি'র ১ম খণ্ডে স্থান পাইয়াছে। 'এষা'র তৃতীয় সংস্করণেও ইহা যোজিত হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত প্রিয়লাল দাস 'এষার কবি' নামক গ্রন্থে (পৃ ১৭৫)