পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 100 ) লেখকের ব্যক্তিগত মানস-প্রকৃতির বৈশিষ্ট্যের প্রকাশরুপে রচনা-রীতির আালোচনা করাআমাদের দেশে প্রাচীন কালে বিশেষভাবে প্রচলিত ছিল। ন। সংস্কৃত আলঙ্কারিকগণ, রচনা-রীতিকে যে তিন বা চারি শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছেন, তাহাতে ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য প্রকাশের কোন কথা। নাই। তবে যাহারা উচ্চতম শ্রেণীর লেখক, তাহাদের রচনায় ব্যক্তিত্বের চিহ্ন ধরিতে পারা যায়। কিন্তু সাধারণতঃ ব্যক্তিত্বের বিকাশের দিকে দৃষ্টি না রাথিয়া, প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত। পদ্ধতির অনুসরণ করাই, সে কালের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বাঙ্গালাসাহিত্যকেবল মাত্র সংস্কৃত আলঙ্কারিকগণের বিধানের শাসনাধীনে বিকশিত হয় নাই। সুতরাং, সংস্কৃত অলঙ্কার শাস্ত্রের তুলাদণ্ডে ইহার পরিষ্কাপ করিবার চেষ্টা করা বিড়ম্বনা মাত্র। আমাদের বঙ্গ-সাহিত্যে যে সমুদায় লেখকের লক্ষা, পন্থাও বৈশিষ্ট্যও ধরিতে পারা যায়, তাহাদের রচনা-রীতি সম্বন্ধে আলোচনা করা বিশেষ ভাবে আবখ্যাক হইয়া পড়িয়াছে। কারণ, আমাদের সাহিত্যসাধনা অনেক। সময়ে কর্ণধারহীন তরণীর ত্যায়, সাময়িক উত্তেজনায় ও বিভিন্নমুখী প্রবাহের তাড়নায় উদভ্রান্ত ভাবে অনির্দিষ্ট পথে চলিয়াছে। অতীতের হিসাব নিকা- শের প্রয়োজন, এরূপ অবস্থায় অত্যন্ত অধিক। নতুবা, বর্ত্তমানকে আমরা একটি গৌরবময় সুনিশ্চিত পথে, সজ্ঞানভাবে লইয়া যাইতে পারিব নাi বর্ত্তমান সময়ে সাহিত্যরচনার সু প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্য এই যে, সকলে যেন রচনা বুঝিাতে পারে। কারণ আমাদের এই যুগ যে জনসাধারণের যুগ, তাহাতে বিশেষ সন্দেহ নাই। অবখ্য একেবারে প্রত্যেক নরনারীকে সকল বিষয় বুঝাইয়া বলা অত্যন্ত কঠিন এবং অনেক সময়ে অসম্ভব বলিয়াই