পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ) অক্ষয়কুমারের ‘ধর্মনীতি’, ‘বাহপ্রকৃতির সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার’ ও ‘ভারতবর্ষীয় উপাসকসম্প্রদায়' প্রভৃতি গ্রন্থ, রাজার এই সঙ্কল্প সাধনে বিশেষ সহায়তা করিয়াছিল। বৰ্তমান জগতে আমরা অতিশয়। পশ্চাতে পড়িয়া গিয়াছি-বিজ্ঞান অনুশীলনের অভাব ও বৈজ্ঞানিকী বুদ্ধির অভাব, ইহার প্রধান কারণ। স্বাধীন ভাবে চিন্তা করিবার সাহস নাই, প্রবৃত্তি নাই, সামর্থও নাই। অন্ধভাবে গতানুগতিকের অনুবৰ্তন করিতেছি। আমাদিগের দৃষ্টি অতিশয় সঙ্কীর্ণ-বিজ্ঞানের চর্চার দ্বারা স্বাধীন চিন্তায় অভ্যস্ত হইতে হইবে—রাজা রামমোহন রায়ের ইহা সঙ্কল্প॥ ছিল। অক্ষয় কুমার, এই কার্য বহুল পরিমাণে সাধন করিয়া গিয়াছেন। ৫ ) রাজা রামমোহন রায়ের অভাদয়ের সহিত বাঙ্গালা দেশে এবং ভারত বর্ষের জনসাধারণের জাগরণের বিশেষ সম্বন্ধ রহিয়াছে। কিন্তু জনসাধারণের জাগরণ একদিনে অকস্মাৎ সাধিত হইতে পারে না। বিশেষ। করিয়া। আমাদের দেশের অবস্থা সে সময়ে যেরূপ ছিল, উচ্চ শ্রেণীর সহিত নিম্নশ্রেণীর, পুরুষের সহিত স্ত্রীলোকের প্রভেদ এতই অধিক ছিল যে, জনসাধারণের এই জাগরণের প্রচেষ্টাক্রমে ক্রমে কতকগুলি নির্দিষ্ট স্তরের মধ্য দিয়া সাধিত হইয়াছে। এখনও এই জাগরণ যে পূর্ণাবস্থায়। বা সন্তোষজনক অবস্থায় আসিয়াছে, তাহা নহে-—এখনও কাজ অনেক বাকী রহিয়াছে। ব্রাহ্মসমাজের ইতিহাসেও আমরা এই স্তরগুলি। দেথিতে পাই এবং বাঙ্গালা সাহিত্য রচনার রীতিতেও এই স্তরের সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন ব্রাহ্মী-সমাজে যোগ দিলেন, তখনও ব্রাহ্মসমাজে জনসাধারণের আন্দোলন হয় নাই। ব্রাহ্মণের গোপনে বেদপাঠ