পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১9• ) অক্ষয়কুমার দত্তের রচনাবলী মধ্যে একটি বিষয় লক্ষ্য করা আবশ্যক। ছাত্রদিগের জন্য পাঠ্য পুস্তক রচনাযু তিনি যে পরিমাণে সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন, জনসাধারণের জন্য লিখিত গ্রন্থে সে পরিমাণ সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করেন নাই। ‘চারুপাঠের’ রচনার সহিত ‘ধর্ম্ম-নীতি’র তুলনা করিলোই ইহা বুঝিতে পার৷ যাইবে। অবত্য তিনি সর্বসাধারণের মুবোধ্য করিবার জন্য গ্রন্থ রচনা করিলেও, সংস্কৃত শবের প্রতি যে তাহার একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। ব্যিাসাগর মহাশয়ের রচনাও এই শ্রেণীর অন্তর্ভু ক্ত। এই প্রকারের রীতির বিরুদ্ধে, প্যারীচাদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদার মহাশয়ের কর্তৃক প্রচারিত “মাসিক পত্রিকা” নামক পত্রিকায়॥ অপেক্ষাকৃত সরল, প্রাঞ্জল ও কথ্যশবহুল ভাষার উদ্ভব হয়। টেক চাদ ঠাকুরের ‘আলালের ঘরের দুলাল” গ্রন্থ যে এই ভাষার স্বাভাবিক বিদ্রোহরূপে প্রচারিত হইয়াছিল, তাহা নহে -একটি বিশেষ উদ্দেগ্য লইয়াই “আলালের ঘরের দুলাল” গ্রন্থ প্রচারিত হয়। যাহা হউক, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের পরিচালিত ব্রাহ্মসমাজ হইতে ঘে কারণে ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় বাহির হইয়া আসেন এবং ভারত বষীয় ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠার মধ্যে ভবিষ্যতের সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা স্থাপিত হয়, ঠিক সেইরূপ অক্ষয়কুমার দত্ত ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচনারীতির অপর দিকে এই কথ্য ও সরল বাঙ্গালার উদ্ভবের মধ্যে ভবিষ্যতের বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের রচনারীতির ভাবী বীজ রোপিত হয়। বাঙ্গালা গন্ত-সাহিত্যে সংস্কৃত শব্ধের প্রয়োগ সহন্ধে একটু গভীর ভাবে আলোচনা করা আবক। এক শ্রেণীর ভাগ্যহীন লেখক দুর্বোধ্য শক প্রয়োগের দ্বারা গঢ়-সাহিত্যকে দুর্গম কণ্টকারণ্যে পরিণত করিয়াছেন,