পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৭৩

সাহিত্য-মিত্রতা ২১ মg এg = যদিও তিনি কোন গুরুতর দৃষ্টদোষে দূষিত না হন, তথাচ এরূপ সলিঞ্চ, সারল্যহীন ও কোপন-স্বভাব হইতে পারেন যে, প্তাহার প্রণযু-পাত্র ও বিশ্বাস-ভাজন হওয়া একেবারে অসম্ভব হইয়া উঠে। অতএব দ্রাহারা পরস্পরের গুণাগুণ বুঝিতে অসমর্থ হইয়া বন্ধুত্ব-বন্ধনে বদ্ধ হন, কোন না কোন কালে তাহাদের সেই বন্ধন। একেবারে ছিন্ন হওয়া সম্ভব। যদি ভাগ্য-দোষ-বশতঃ এতাদৃশ নিদারুণ ঘটনা নিতান্তই ঘটিয়া উঠে, তথাচ তাহাদিগের বন্ধুত্বঘটিত কর্ত্তব্য কর্ম্ম সাধনের সমাপ্তি হয় না। আমরা জন্মাবধি কস্মিন্ কালে যাহার মুখাবলোকন করি নাই, আর যাহার সহিত সহবাস ও সদালাপ করিয়া, পুলকিতচিত্তে কিছুকাল অতিপাত করিয়াছি, সেই উভয়ই আমাদের সমান ঘট্টের পাত্র বা সমান অবজ্ঞার বিষয় বলিয়া কথনই গণ্য হইতে পারে না। যদিও ঐ শেষোক্ত সুদা মহাশয় আমাদের। সহিত নিতান্ত ৩ায়বিরুদ্ধ ব্যবহার করিয়া, আমাদের অনুরাগ-লাভের একান্তই অযোগ্য হন, তথাচ তিনি সপ্তাবের সময়ে বিশ্বাস করিয়া আমাদিগকে যে কোন গোপনীয় বিষয় অবগত করিয়াছিলেন, সেই সম্ভাবের অসদ্ভাব হইলেও, তাহা কদাচ ব্যক্ত করা উচিত নয়॥ যে সময়ে কাহারও সহিত দৌহৃদ্য থাকে, সে সময়ে তিনি আপনার মনের কবাট উদঘাটন করিয়া, আমাদের নিকট এতাদৃশ গুহাবিষয় প্রকাশ বিচ্ছেদকালে। করিতে পারেন যে, তাহা ব্যক্ত হইলে, তাহার অশেষ গুহ্যবিষয় প্রকাশ নিষিদ্ধ অনর্থের উৎপত্তি হইতে পারে। যদি তাহার উদ্ভ-রূপ অনর্থের অথবা কিছুমাত্র অনিষ্ট ঘটনার সম্ভাবনা নাও থাকে, তথাচ যখন আমরা তাহার নিকট স্বীকার করিয়াছি- অমুক বিষয়। অপ্রকাশ রাখিব, তখন তাহা প্রাণসত্ত্বে প্রকাশ করা বিধেয় নয়। যদি তাহার সমীপে উক্তরূপ বাচনিক অঙ্গীকার নাই করিয়া থাকি, তথাচ র্যাহার সহিত প্রণষ্ম-পাশে বদ্ধ থাকিতে হয়, প্তাহার নিকট উক্তরুপ।