পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য— দয়া ৪৫ ১ ও ২০১১ • ১৯৫৮ যে মহাত্মার অন্তঃকরণ, এতাদৃশ অতি মনোহর অথরাজ্যে বিচরণ করিতে পারে, তাহার অনুভূত মুথ অজ্ঞানাবৃত অশিক্ষিত ব্যাক্তির মুখাপেক্ষ অশেষগুণে উৎকৃষ্ট, তাহার সনেহ নাই। যদি শিক্ষিতের সুখ। মাজ্জিতবুদ্ধি-পরিচালনৈ মুখোদয় হয়, যদি ক্ষুদ্র ও নিরুপম বৃহৎ এবং সুন্দর ও মহৎ অশেষবিধ পদার্থ-চিন্তনে সুখ-সঞ্চার হয় এবং যদি মহিমার্ণব পরমেশ্বরের অচিন্ত্য শক্তির ও অপার মহিমার অসংখ্য নিদর্শন-দর্শনে প্রগাঢ় মুথের উদ্ভব হয়, তবে জ্ঞানালোক সম্পন্ন বিশুদ্ধচিত্ত সুশিক্ষিত ব্যক্তির পরমোৎকৃষ্ট নিরুপম মুখের উপমা দিবার আর স্থল নাই, এ কথা অবন্ত্য স্বীকার করিতে হইবে। দয়া পরের দুঃখ-মোচনে প্রবৃত্তি জন্মাইবার নিমিত্ত জগদীশ্বর আমাদিগকে দয়া দিয়াছেন॥ দয়া অতি প্রধান ধর্ম্ম। যিনি কাহারও উপকার করেন, তিনি মনে মনে অতি পবিত্র অনির্বচনীয় আনন্দ অনুভব করেন, এবং ঘিনি উপকৃত হন, তিনি আসন্ন বিপদ বা উপস্থিত ক্লেশ হইতে মুক্ত হইয়া থাকেন। দরিদ্রদিগকে অর্থ দান করিলেই যে দয়াঁ প্রকাশ হয়, অন্য প্রকারে হয় না, এমন নহে। প্রতুত দয়ালু ব্যক্তি সহস্র প্রকারে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও অপর সাধারণের দুঃখ দূর করিয়া পরম পরিতোষ প্রাপ্ত হন; পরিবারস্থ সমস্ত ব্যক্তির যত দূর মুখস্বচ্ছনতা বৃদ্ধি করিতে পারা যায় তাহার উপায় করা উচিত। জ্ঞানোপদেশ, ধৰ্মোপদেশ, সদালাপ, সৎপরামর্শ