পাতা:অক্ষিতত্ত্ব.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্ষুর অবস্থান-কৌশল। 》 তার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে; এবং পুনঃ২ এইরূপ অভ্যাস দ্বারা নিঃসন্দেহুই উক্ত কার্য্য অপরিজ্ঞাত ও স্বেচ্ছাপ্রতিকুলভাবে অভ্যস্ত বইয় পড়ে। যতক্ষণ পর্য্যন্ত কোন ব্যক্তি জাগরিত থাকে, ততক্ষণ পর্য্যন্ত তাহার রেটিন এবং দৃশ্য-দুরবস্তুর মধ্যবর্তী দূরত্বে প্রত্যেক মুহুর্তে অসংখ্য পরিবর্ত্তন ঘটিয়া, অক্ষি-মুকুরের মুজিতfরও তদ্রুপ পরিবর্তন ঘটাইয়া দেয়। কারণ, ইহা সপ্রমাণিত হইয়াছে যে, অবিকৃত-দৃষ্টিতে আলোকরশ্মি কেবল রেটিনাতে আনীত হইয়া, পরস্পর এক বিন্দুতে মিলিত হয়, এমত নছে; উহার রেটনার বেসিলারি লেয়ারেও ( Bacillary layer ) ঠিক সেই ভাবে এক বিন্দুতে পরস্পর মিলিত হইয়া থাকে। বর্তমান সময়ের মান বর ও প্রণজ্ঞ ব্যবস্থাপকদিগের মতে, সিলিয়ারি পেশীর কার্য দ্বারাই চক্ষুর উপযোগিতা সংসাধিত হইয় থাকে। ডভাস্। সাহেব লিথিয়াছেন “অতএব পেশীর দর্শনোপযোগিতা-রূপ বিশেষ গুণ কেবল সিলিয়ারি পেশীরই আছে। কিন্তু, যে কৌশল দ্বারা এই ক্ষুদ্র পেশীর সংকোচন শক্তি অক্ষি-মুকুরের আকৃতির পরিবর্তন ঘটায়, ( এই প্রশ্ন এক্ষণে যতই কেন সারসঙ্কীর্ণ হউক না ) তাহ অদ্যপি বিশ্বাস ও সন্তোষজনকৰূপে স্থির সিদ্ধান্ত হয় নাই”। এই মতের প্রতিপোষণ করিতে আমরা সযত্বে উল্লেখ করিতেছি, যে, যে সকল জন্তুর চক্ষুর দর্শনোপযোগিতা সমধিক বলবতী ( যেমন পক্ষীজাতি) তাহীদের সিলিয়ারি পেশীও সমধিক পুষ্ট। আর যাহারা ( যেমন মৎস্য জাতি) প্রায়ই তদ্বিরহিত, তাহদের সিলিয়ারি-পেশী প্রায়ই পুষ্ট হইতে পণয়ন। সিলিয়ারি-পেশীকে উপযোগিতার পেশী বলিয়া নির্দেশ করিতে, বর্ত্তমান সময়ে ব্যৰস্থাপকদিগের মত যদিও পরস্পর ঐক্য, তথাপি আমীর তদ্বিষয়ে তত স্থির ও বিশুদ্ধ মত নই। কারণ যখন এই উপযোগিতায় অক্ষি-মুকুরের অগ্রভাগের মুজিত পরিবর্জিত হন, তখন যে সেই পরিবর্তন সিলিয়ারি পেশীর দ্বারা সংঘটিত হইয়া থাকে, ইহা আমার কখনই বোধ হয় না। প্রথমতঃ ইহা সমধিক সম্ভব বলিয়া বোধ হইতেছে, যে এই সুক্ষম ও দ্রুতগামী পরিবর্তন অক্ষি-মুকুরের অন্তর্ব্বত্তী কোন বিশেষ শক্তিসমুদ্ভূত। সেই শক্তি দ্বারা উহার আকৃতির পরিবর্তন ঘটিয়া থাকে। আর লেন্স হইতে কিয়দূরে অবস্থিত একদল অরেখায়িত (Unstriped) পেশী, যাহা কেবল এতদুভয়ের মধ্যবর্ত্তী নিৰ্মাণ দ্বারা লেন্সে কার্য্যকরি হয়, ভদ্বারা উক্ত পরিবর্তন সমূহ সংঘটন হওয়া, অপেক্ষাকৃত অসম্ভব বলিয়া বোধ হয়। “Accommodation and Refraction of the Eye,” by Donders, p. 23. (New Sydenham Society.)