পাতা:অক্ষিতত্ত্ব.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। রোগীর চক্ষু ও দৃষ্টি পরীক্ষা করিবার রীতি –অক্ষিবীক্ষণ যন্ত্র।—অক্ষিীক্ষণ যন্ত্রের মৌলিক নিয়ম ও ব্যবহার —অফিৰীক্ষণ যন্ত্র দ্বার হস্থচক্ষুর পরিদর্শন। চক্ষু পরীক্ষা করিবার রীতি। চক্ষু পরীক্ষা করিতে হইলে, প্রথমতঃ উহাকে বিশুদ্ধ উজ্জ্বল আলোকে অীলোকিত করা নিতান্ত আবশ্যক। পরে, রোগী সুবিধামত কোন গবাক্ষের সম্মুখে উপবিষ্ট থাকিবে, আর চিকিৎসক তথায় এরূপভাবে দণ্ডীয়মান হইবেন, যে, তাহতে আলোকরশ্মি অপ্রতিরোধিতভাবে রোগীর চক্ষুর উপর পতিত হইয়া, তাহাকে তদভ্যন্তরস্থ সমুদায় অংশের বিশেষ পরিজ্ঞান জন্মাইয়া দিতে পারে। অতঃপর এক হস্তের, অঙ্গষ্ঠ অঙ্গুলি দ্বারা রোগীর উৰ্দ্ধাক্ষিপুট, ও অপর হস্তদ্বারা নিম্নাক্ষিপুট উল্মীলিত করিতে হয়। এই ব্যাপার যদিও অতিশয় সহজ, তথাপি ইহাতে সমধিক সাবধান হইতে হয়। কারণ, পীড়িত অক্ষিগোলকে সামান্য প্রতিচাপ লাগিলেও কষ্ট, ও উত্তেজন" প্রদান করিয়া, তৎক্ষণাৎ উহু হইতে অশ্র-প্রবাহ প্রবাস্থিত হয়; সুতরাং তৎসময়ে চক্ষু পরীক্ষা করিতে আর পারা যায় না। অক্ষিপুট-দ্বয়কে সম্ভবমত বিযুক্ত করিয়া, সিলিয়া, পংটা (Puncta ) কর্ম্মজংটাইভ, স্কুরোটিক, কণিয়া এবং আইরিসের অবস্থ সযত্বে পরীক্ষা করিতে ছয়। সে যাহাহউক, কোন কোন স্থলে রোগী অসহনীয় আলোকাতিশয্যে প্রপীড়িত হইয়া, আমাদিগকে উপযুক্তি অংশসকল পরীক্ষা করিতে বিফল-প্রযত্ন করে। উক্ত অসহনীয় আলোকগতিশয্যে রোগীর অক্ষিপুট স্বেচ্ছার প্রতিকূলে স্বয়ং মুদিত হইয়া আইসে। আর, যদি উহাকে বলপুর্ব্বক উন্মীলিত করা যায়, তাহা হইলে কর্ণিয়। তৎক্ষণাৎ উর্দ্ধাভ্যন্তরদিকে এত বিঘূর্ণিত হইয়া যায়, যে কেবল উহার নিম্নপ্রান্তের অত্যপ মাত্র দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। বালকদিগের পক্ষে এই ব্যাপার সমধিক দুষ্কর, সুতরাং এই সমস্ত স্থলে, রোগীকে ক্লেরোফর্মের অধীনে আনিয়া অচৈতন্য করাই একমাত্র যুক্তিসিদ্ধ উপায়। বিশেষতঃ, যখন আমরা চক্ষুর মধ্যে কিরূপ পরিবর্তন ঘটিয়াছে, ভtহার যথার্থ প্রকৃতি সম্যক অবগত হইতে না পারি, তখন উক্তরূপ তাচৈতন্য করাই বিধেয়। তার প্রাচীন ব্যবহীরমতে রোগীর মস্তক কোন ব্যক্তির জানুমধ্যে ধৃত করিয়া, বলপুর্ব্বক উহার অক্ষি-পুট