৩২ চক্ষু পরীক্ষা করিবার রীতি। উদাহরণ। কোন ব্যক্তির চক্ষু প্রকৃত দর্শনোপযোগী হইয়া, বিংশতিতম অক্ষরশ্রেণীকে বিংশতি ফুট দূরে না দেখিয়া, যদি ১০ ফুট দূরে দেখে, তবে উহার দৃষ্টির বিলক্ষণ তীক্ষত আছে, এরূপ অনুমান করিতে পারা যায় না। ఇs — » ड =ऽ# = ३! তিনি যদি, তৃতীয়, সংখ্যক অক্ষর শ্রেণী ১ ফুট অন্তর হইতে দেগিতে পান, তবে তাছার দৃষ্টির তীক্ষত ত=3। অন্যান্য স্থলেও এইরূপ। দৃষ্টির তীক্ষত নিরূপণার্থে, সচরাচর জিগর সাহেবের ইংরাজী অক্ষর ব্যবহার করা উত্তম। যাহারা বাঙ্গল ভাষা জানেন, উপহাদের বাঙ্গল, ও যশহর। হিন্দুস্থানী, তাহদের নিমিত্ত দেবনাগর অক্ষরে, ঐ প্রকার ভিন্ন২ অক্ষর শ্রেণী খোদিত ও মুদ্রিত হইয়াছে। এই পুস্তকের উপসংহারকালে কতিপয় বাঙ্গল অক্ষর শ্রেণী সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। মিলেন্ সাহেব অশিক্ষিত লোকদিগের নিমিত্ত বিভিন্ন অণকণরের নানাবিধ সংখ্যা ও আশরুতি খোদিত করিয়া, মহছপকার সাধন করিয়াছেন। বয়স ও দুরতার বিভিন্নতানুসারে,ভিন্নং ব্যক্তির ভিন্নং প্রকার দৃষ্টির দর্শনোপযোগিতা ঘটিয়া থাকে i দর্শনোপযোগি-পদার্থের লঘুতম দুরত্ব ৩ই সাড়ে তিনইঞ্চি হইতে ৪ চরি ইঞ্চি পর্য্যন্ত। তদপেক্ষা অ-পদূরে অমর সুস্পষ্ট দেখিতে পাই না। কিন্তু উক্ত উপযোগিতার দূরতম দূরত্বের কোন সীমা নাই। বাহু নানা কারণে আলোকের প্রতিরোধ ন৷ হইলে, অসীম জগৎ আমাদের দৃষ্টিগোচর হইত। দৃষ্টিক্ষেত্র ( visual Field)—রেটিনার ম্যাকিউল লিউটয়াতে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি থাকিতে পারে; অথচ তদ্বহিঃস্থ রেটিনার কার্ধ্যের সম্পর্ণ হানি হইলেও, উহার ক্ষতি বোধ হয় না। এই নিমিত্ত দৃষ্টিক্ষেত্রের পরিমাণ অর্থাং যত দূর হইতে রেটিন আলোক গ্রহণ করিতে পারে, তাহা নির্ণয় করা সর্ব্বতোভাবে প্রয়োজনীয়। নিম্ন লিখিত প্রকারে দৃষ্টিক্ষেত্রের পরিমাণ নির্ণয় করিতে পারা যায়। একখানি কৃষ্ণবর্ণ বোর্ড বা নীল কাগজপন্থত একথান। ফ্রেম্ হইতে ১ ফুট, অন্তরে, রোগীকে উপবিষ্ট করাইয়া, একথানি ফুলখড়ীদ্বারা উক্ত বোর্ডের ঠিক্ মধ্যস্থল ড়ের + চিহ্লাঙ্কিত করিয়া, তাহণকে এক চক্ষু মুদিত ও অপর চক্ষদ্বারা তদর্শনে দৃষ্টি নিয়োজিত রণথিতে আদেশ করিতে হয়। এইরূপ করিলে, পরে উক্ত খড়িখণনি ক্রমশঃ বোর্ডের নিম্ন, উৰ্দ্ধ, দক্ষিণ ও বাম চতুর্দিকে সমতলভাবে লইয়। যাইতে হয়। ইহাতে রোগী উক্ত স্থানে দৃষ্টিনিয়োজিত রাখিয়া, প্রত্যেক দিকে যতদুর পর্য্যন্ত দেখিতে পায়, তাহার
পাতা:অক্ষিতত্ত্ব.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।