পাতা:অক্ষিতত্ত্ব.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্ষিকোটরীয় উছৰ্দ্ধন এবং অর্ব্বদ সকল। ৬৭ শাখা সকলের পীড়া হইতে সমুৎপন্ন হইয় থাকে।* এই উভয়বিধস্থলে সমবেদন স্বায়ুর উত্তেজন দ্বারা য়্যাডিপোস টিমুর বিস্কৃদ্ধি এবং অক্ষিকোটরীয় শিরা সকলের প্রসারণ হইতে থাকে। এক্সঅপথ্যালমিক গয়েটর প্রধানতঃ স্ত্রীলোকদিগেরই হইয়। থাকে। ডাক্তর উইদিউসেন বর্ণিত পঞ্চশীৎ স্থলের মধ্যে আটটিমাত্র পুৰুষ এই রোগে রোগাক্রান্ত বলিয়া উদাহৃত হইয়াছে। f লক্ষণ l—নর্ভ ও ইরিটেবিলিটি বা স্নায়ুর উত্তেজন-প্রবলতা. মস্তক এবং মুখমণ্ডলের গুৰুভাব, এবং সময়ে২ প্রবল হৃদ্বেপন এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। স্ত্রীলোকদিগের এই রোগ ঘটিলে, ঋতুর ব্যতিক্রম হইয়া থাকে, তৎপরে ফলকগ্রন্থি বা থাইরোইড গ্ল্যাণ্ড বৃহত্তর হইতে আরম্ভ হয়, এবং তৎসঙ্গেই উভয়ংক্ষিগোলক সমভাবে বহিঃস্থত হইতে থাকে। কিন্তু এই বহিঃসরণ অতি মুছভাবে হুইয়া থাকে। ইহাতে চক্ষুর কোনরূপ প্রত্যক্ষ পরিবর্তন দেখিতে পাওয়া যায় না; এবং ইতিপূর্ব্বেই উহাদের য়্যাক্সেস (Axes ) উলটাইয়া যায়। উৰ্দ্ধকর্ষণ প্রযুক্ত একদৃষ্টি জন্মিয় থাকে। অক্ষিপুট দৃষ্টিক্ষেত্রের উন্নয়ন ও অবতরণসময়ে, অক্ষিগোলকের গতির অনুসরণ করিতে পারে না; উহ। এক্স অপৃথ্যাল্মস হইতে সম্পর্ণ পৃথক্ভাবে উন্নত হইয় থাকে। তথাপি অক্ষিগোলকের গতি কোনক্রমে বিনাশিত হয় না। উহা সময়ে২ এত বহিঃস্থত হয় যে, রোগী কোনক্রমেই অক্ষিপুট মুদিত করিতে পারে না। ডাক্তর টাউসে। সাহেব বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি একস্থলে রোগীর তাক্ষিগোলকদ্বয় একবারেই কেটের হইতে বৰ্হিভূত হইয়া আসিতে দেখিয়াছেন। বাস্তবিক এইরূপ ঘটনা তাতিকদাচিৎ ঘটিয়া থাকে। কিন্তু অন্যান্যস্থলে অক্ষিগোলক দ্বয় আপ পরিমাণে বহির্গত হইয়। আসিলে, উহাদের উজ্জ্বলতা, ফলক গ্রন্থির বৃহক্ততা, হৃদ্বেপন এবং স্বায়ুসম্বন্ধীন অন্যান্য লক্ষণসকল দেথিয়া, আমরা এই রোগকে এক্সঅপৃথ্যালমিক গয়েটর বলিয়। অনুভব করিতে পারি, তদ্বিষয়ে কোনরূপ ভ্রম হইতে পারে ন! | go এই রোগ হৃদপিণ্ডের কোনকারণ হইতে উৎপন্ন হয় না। হৃদ্বেপন বিদ্যমান থাকিলেও সমান্যতঃ হৃদপিণ্ডের কোন নৈর্মাণিক পরিবর্তন দেখিতে পশওয়া যায় না। রোগীর দুটির লাঘব হয়, এবং সে অধিকক্ষণ পর্যন্ত কোন বস্তুর প্রতি

  • On the Cerebro-Spinal Origin and 1)iagnosis of the l’rotrusion of the Eyeball, commonly called Antemic, by lyr. T. Laycock: Medico-Chirurgical Review, July. 1863, p. 251. 電
  1. Dublin Medical Press, vo, xlii July, 1853.