পাতা:অগ্নি-বীণা - নজরুল ইসলাম -দ্বিতীয় সংস্করণ.djvu/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রলয়োল্লাস

দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু চাঁদের কর—
 আলো তার ভর্‌বে এবার ঘর।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর্।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর্!!


ঐ সে মহাকাল-সারথি রক্ত-তড়িত-চাবুক হানে,
রণিয়ে ওঠে হ্রেষার কাঁদন বজ-গানে ঝড়-তুফানে!
ক্ষুরের দাপট তারায় লেগে উল্কা ছুটায় নীল খিলানে! 
 গগন-তলের নীল খিলানে।
অন্ধ কারার বন্ধ কূপে 
দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যুপে 
 পাষাণ-স্তূপে!
এই তো রে তার আসার সময় ঐ রথ-ঘর্ঘর—
 শোনা যায় ঐ রথ-ঘর্ঘর।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর্!
তোরা সব জয়ধ্বনি কর্!!


ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর?—প্রলয় নূতন সৃজন-বেদন!
আসছে নবীন, জীবন-হারা অ-সুন্দরে কর্‌তে ছেদন! 
তাই সে এমন কেশে বেশে
প্রলয় বয়েও আস্‌ছে হেসে—
 মধুর হেসে!
ভেঙে আবার গড়তে জানে সে চির-সুন্দর! 
তোরা সব জয়ধ্বনি কর্!