পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

... । 1 পরিশিষ্ট সব শেষ খা-পরমহংস শিবনারায়ণ স্বামী (কাশী, জেলার মধ্যে ) ব্রাহ্মণকুন্সে জন্ম লইয়াছিলেন। তাঁহার পিতার নাম বেদব্যাস, মাতার নাম গঙ্গাদেবী। তিনি অগ্নিহােত্রে এবং গায়ত্রীমন্তে সিদ্ধ হইয়াছিলেন। ত্রিভুবনের গুরু সূর্য্যনারায়ণ হইতে তিনি ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন। তিনি বলিয়া গিয়াছেন, “মানুষ মানুষের যথার্থ গুরু হইতে পারেনা। জ্ঞানবান মনুষ্যগণ অজ্ঞান মনুষ্যদিগের উপদেষ্টা এবং আচার্য্য হইতে পারেন। “”” শব্দের অর্থ অন্ধকার “রু” শব্দের অর্থ, জ্যোতিঃ। যিনি মনুষ্যকে এই অন্ধকার রূপ সংসার হইতে জ্যোতিতে বা জ্যোতি রাজ্যে লইয়া যাইতে পারেন তিনিই যথার্থ গুরু এক সুর্য নারায়ণ জ্যোতিঃ স্বরূপ ব্যতীত ত্রিভুবন মধ্যে অন্য কেহ গুরু নাই।” তঁাহার উপদেশ মত কার্য্য করিলে, ব্রাহ্মণ, শূদ্র, প্রভৃতি ভারতবাসী সকলেরই ক্রমে আশানুরূপ কল্যাণ লাভ করিবেন ইহা ধ্রুব সত্য। লেখকের শেষ নিবেদন!—আমি শূদ্রকুলোদ্ভব, দরিদ্র, মূখ-ক্ষুদ্র ক্ষীণকায় ও ৭ বৎসরের বৃদ্ধ। সুতরাং সাধারণের দৃষ্টিতে আমি অতি অধম, অতি নীচ এবং অশেষ দোষের আকর। কিন্তু তাহা হইলেও আমার অন্তরে এক অতি মহান্ শুভেচ্ছার উদয় হইয়াছে। অর্থাৎ, জগবাসী সকল নরনারী শিশু বালক বালিকা প্রভৃতি রােগ, অকালমৃত্যু, ভয়, পরিতাপ, রােদন, ক্রন্দন, বিলাপ, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধবিগ্রহ, ব্যাভিচার, দারিদ্র্য ইত্যাদি সৰ্ক আপদ, সর্ব্ব বিপদবজিত হইয়া সাম্য এবং মৈত্র ভাবে সুখে সচ্ছন্দে নির্ভয়ে ও সদানন্দে কালযাপন করুক; সকলের বদন সহাস্য এবং সকলে বিদ্বান, বলিষ্ঠ ও প্রিয়দর্শন হউক ইত্যাদি। এই মহতী বা মহান্ ইচ্ছায় অনুপ্রাণিত হইয়া এবং পরমহংস পরিব্রাজক স্বামীজির অশেষ উপদেশ ও আশ্বাসবাণী অবলম্বন করিয়া আমি অতি অধম হইয়াও এই ক্ষুদ্র জগৎ-হিতকর গ্রন্থ প্রকাশে সাহসী হইয়াছি। অতএব গুণগ্রাহী সুধীমহাশয়গণ আমার সকল দোষ মার্জনা করিবেন। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ। .. . . - • । ।