পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৬ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান শুইয়া পড়িল। এই দেখিয়া রামদাদা বলিতে লাগিল, “ও রাখাল, তুই শুয়ে পড়েছিস কেন? ঘুমুবি নাকি? তুই সাধু হয়েছি, এখনও খেয়ে-দেয়ে ঘুম ?” রাখাল বলিল, “রামদাদা, একটু সবুর কর, আধ ঘণ্টা একটু ঝিমিয়ে নি। এটা হচ্ছে কি না-রাজনীতি, একটু সবুর কর।” এই বলিয়া সে নাক ডাকাইয়া ঘুমাইতে লাগিল। আমি ত হাসিতে লাগিলাম ও ভাবিতে লাগিলাম – দেখ, শুইয়াই ঘুমাইয়া পড়িল। তাহার পর খানিকক্ষণ ঘুমাইয়া, উঠিয়া বসিল। রামদাদা বলিল, “দেখ, আমরা যা করে যাব, পরবর্তী লােকেরা সেই সব অনুকরণ করবে। ঠাকুরের ভােগে মাছ, মাংস দেওয়া উচিত নয়। মঠে মাছ, মাংস করা উচিত নয়।” গঙ্গাধর তর্ক করিতে লাগিল ও নানাপ্রকার যুক্তি দেখাইতে লাগিল। সে বলিল যে, মাছ, মাংস খাওয়া আবশ্যক। যুব রাখাল বলিল, “আমরা পথে পথে ঘুরে বেড়াই, পরের বাড়ীতে ভিক্ষা করে খাই; মাছ, মাংস জোটে কোথায় ? কালে-ভদ্রে যদি খাই। কিন্তু তার জন্যে বিশেষ চিন্তা কবার আবশ্যক নেই। এ সব নিয়ে ভাবতে গেলে সব সময় পরের বাড়ীতে খাওয়া চলে না। আসল জিনিষটা না ভুললেই হলাে। ও বিষয় আর মাথা ঘামাবার দরকার নেই।” এইরূপ নানাপ্রকার কথাবার্তা কহিয়া আমরা তিনজনে বলরাম বাবুর বাড়ী চলিয়া যাইলাম। রাখালের বরাবরই জোরে নাক ডাকাইয়া ঘুমান অভ্যাস H