পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৬১ অবলম্বন করেন। এক মহৎ উদ্দেশ্য সাধন করিবার জন্য তাহারা জীবনের অনেক প্রয়াস, অনেক বাসনা, অনেক সংস্রব, নির্মমভাবে, স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিয়া থাকেন। কেবলমাত্র একটা উদ্দেশ্যে তাঁহারা সমস্ত শক্তি সন্নিবেশিত করেন; এইজন্য, তাহাদিগের সংরক্ষিত শক্তি অতীব প্রবল হইয়া এককেন্দ্রে, প্রদীপ্ত সূর্যের ন্যায় বিকাশ পাইতে থাকে। গণিতবিদ্যানুসারে এই শক্তির গতি ও প্রতিরােধক অঙ্কন করিলে ইহা সম্যকভাবে বােধগম্য হয়। এ বিষয় একটা গল্প বলিতেছি। একদিন নরেন্দ্রনাথ – তখন স্বামী বিবেকানন্দ – আমেরিকা হইতে ফিরিয়া আসিবার পর, বাগবাজার হইতে হরিঘােষের ষ্ট্রীট দিয়া সিমলায় আসিতেছিল। প্রাতঃকাল, এইজন্য পায়চারী করিতে করিতে আসিতেছিল। সঙ্গে একটী সেবক বা শিষ্য। স্বামিজী একটী ছােট মনােহারী দোকান অতিক্রম করিয়া খানিকটা আসিল। খানিকটা আসিয়াই থামিল এবং আবার সেই মনােহারী দোকানটীর কাছে যাইল। দোকানটী হইল - রাস্তার ধারে, একটী পুরানাে বাড়ীর ছােট একটা ঘরে। ঘরের জানালা ফুটাইয়া দোকানের দরজা করা হইয়াছে; একটী কঁচের বাক্সে কিছু খেলনা দ্রব্য, কয়েক শিশি লজেজুস এবং জারে কিছু তামাক আছে। এইরূপ সামান্য জিনিষ বিক্রয়ের একখানি দোকান। স্বামিজী ফিরিয়া গিয়া দোকানের সম্মুখে দাঁড়াইয়া দোকানদারের নাম ধরিয়া ডাকিল এবং ১১