পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান অন্যবার পরিভ্রমণকালে যেমন গুজরাট, করাচী ইত্যাদি স্থানে গিয়াছিল, এবার সেরূপ যায় নাই, কেবল মাত্রাজে গিয়াছিল। অযযাধ্যায়ও একবার গিয়াছিল। শেষকালে ব্রহ্মানন্দ অনেক সময় পুরীধামে থাকিত। এই সময় হইতেই তাহার কর্মভাব অনেক পরিমাণে কমিয়া যাইতে লাগিল। কেবলমাত্র আবশ্যক হইলেই কর্ম্মের নির্দেশ দিত, কিন্তু সকল কার্য্যে ব্যাপৃত থাকিত না। আবশ্যক হইলে কথাবার্তা কহিত, তাহা হইলে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বা সবিকল্প সমাধিতে থাকিত। মনটা যেন অন্যস্থানে চলিয়া গিয়াছে, সর্বদাই তন্ময়, বিভাের, বাহিক স্মৃতি ও বাহ্যিক প্রক্রিয়া যেন নিৰ্বাপিত হইয়া যাইতেছে! কিছু জিজ্ঞাসা করিলে, অনেকক্ষণ পর দেহতে মন নামাইয়া আনিয়া, অস্পষ্টভাবে প্রশ্নের কিছু কিছু উত্তর দিত। শেষকালে এই ভাবটী তাহার ভিতর অতি প্রবল হইয়াছিল, ইহা সকলেই দেখিয়াছেন। এই সময় তাহার গায়ের বর্ণ, মুখভঙ্গী, চক্ষের দৃষ্টি ও কণ্ঠস্বর সম্পূর্ণ পরিবর্তন হইয়া যাইল। কণ্ঠস্বর স্নিগ্ধ, মধুর ও গম্ভীর। চক্ষুর দৃষ্টি - স্থির, নিশ্চল ও আজ্ঞাপদ, কখনও বা অন্তমুখী। পদবিক্ষেপও ধীর, স্থির ও সংযত। সেই সময় তাহার কাছে যাওয়া দুঃসাধ্য হইত। মন নীচে নামাইয়া, সহসা তাহাকে কোন প্রশ্ন করিতে কেহ সাহস করিত না। যাহাকে বলে ‘সাম্য স্পন্দন, এখন হইতে প্রত্যেক প্রক্রিয়ায় তাহা পরিলক্ষিত হইতে লাগিল। এই সময় হইতে, অতীন্দ্রিয় জ্ঞান ও দৈবশক্তি ইত্যাদি, যাহা =