পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান পড়িয়া গেল, “ফিকে সন্দেশ, ময়রা মিষ্টি দিতে ভুলে গেছে।” তখন পাতে একথাবা করিয়া গুড় দেওয়া হইলে তাহারা সন্দেশের সহিত উহা মাখিয়া খাইতে লাগিল। এই গল্পটী। অতিরঞ্জিত নয়। আমি নিজেও কয়েক জায়গায় ঠিক এইরূপ দেখিয়াছি। এই গল্পটী রাখাল একবার বলিয়াছিল। শৈশব হইতে কোমলপ্রাণ এক সময়ে রাখালের এক জ্যাঠামহাশয়ের মাতৃশ্রাদ্ধ হয়। প্রতাপশালী জমিদার, এইজন্য আদেশ করিলেন, “গয়লাদের দৈ, ক্ষীর দিতে হবে।” গরীব প্রজারা ভারে ভারে দৈ, ক্ষীর আনিতে লাগিল। বালক রাখাল দেখিল যে, গরীব প্রজাদের উপর উৎপীড়ন করিয়া দৈ, ক্ষীর লওয়া হইতেছে ; তাহার প্রাণে ইহাতে ব্যথা লাগিল। সে সরলভাবে সকলের সম্মুখে জিজ্ঞাসা করিল, “জ্যাঠামশাই! এ আপনার মা’র শ্রাদ্ধ হচ্ছে,না গয়লাদের মা’র শ্রাদ্ধ হচ্ছে ?” এই কথাটীতেই বেশ বুঝা যায় যে, অতি শৈশব হইতেই রাখাল কোমলপ্রাণ ও সহানুভূতিপরায়ণ ছিল। বংশগত জমিদারী ভাব ও প্রজাদের উপর জোর করিয়া দ্রব্যাদি লওয়া সে পছন্দ করিত না। আমাদের সহিত ঘনিষ্ঠতা যুব রাখাল বিবাহের পর হইতেই পড়াশুনা করিবার জন্য সিমলায় আসিয়া বাস করিতে লাগিল এবং এই সময় হইতে