পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৯ বেলা আমাদের খেলা ছিল—ঘােড়ায় চড়া। ঘােড়াটাকে রাস্তায় বাহির করিয়া, কেহ উহার কাণ ধরিত, কেহ নাক ধরিত, কেহ বা ঝোটন ধরিত। এইরূপ আট দশ জন মিলিয়া ঘােড়াটাকে ধরাধরি করা হইত। আর, কখনও নরেন্দ্রনাথ, কখনও বা রাখাল ঘােড়াটার উপর বসিত এবং ঘােড়াটাকে রথ টানিবার মত করিয়া রাস্তায় ঘুরানাে ফিরানাে হইত। এইটা। আমাদের বড় আমােদের খেলা ছিল। কিন্তু রাখাল যখন ঘােড়াতে চড়িত তখন আমরা হাততালি দিয়া হাসিতাম। কারণ, রাখাল বেঁটে, মােটা ~ ঘােড়াটাও বেঁটে ও মােটা। দেখিতে বড় মজা লাগিত, সেইজন্য আমরা সকলেই খুব হাসিতাম। এইজন্য রাখালের হাসিতামাসার নাম ছিল ‘গজু, ‘গুজরুটা হাতা। আমার পিতাও আদর করিয়া রাখালকে ‘গুজরুটা হাতী’ বলিয়া ডাকিতেন। ‘গ’ যখন ঘােড়ায় চড়িত তখন আমরা এই ছড়াটা বলিতাম-- “দুড়ে ( দু’কড়ি ) চড়েছে হাতী, বর দিয়েছে পীরে।” ঘােড়ার পিঠে 'গজু চড়িয়াছে—এইটাই ভারি হাসিতামাসার জিনিষ। আমাদের বাল্য জীবন খুব হাসিতামাসায় কাটিয়াছিল, পরস্পরের প্রতি ভালবাসার টান ছিল। ভূতের গল্প বল। রাখাল বৈকাল বেলা মনােমােহনদার বাড়ীর গলির দিকের রকটাতে বসিয়া-বচিয়া দু'চারটা ছেলেকে শ্রোতৃরূপে লইয়া