পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান প্রাণখােলা ভালবাসা | বরানগর মঠে প্রথম অবস্থায় রাখালের পিতা, হারাণচন্দ্র ঘােষ মহাশয়, তাহাকে একজোড়া ঘােড়তােলা বার্ণিশ করা জুতা | দিয়া যান। যুবা রাখাল সেই জুতা জোড়া কয়েক মাস মাত্র ব্যবহার করিয়াছিল, কিন্তু আমার পায়ে জুতা না থাকায় আগ্রহ করিয়া আমাকে সেই জুতা জোড়া পরাইয়াছিল এবং সে নিজে শুধু পায়ে রহিল। ব্যাপারটী অতি সমান্য হইলেও ইহার ভিতর কি ভালবাসা, কি উচ্চভাব রহিয়াছে! সে নিজে শুধু পায়ে চলিতে লাগিল, কিন্তু আমাকে জুতা পরিতে দিল। ইহাকেই বলে মহত্ত্ব ও প্রাণখােলা ভালবাসা। এই সব সামান্য বিষয় হইতেই মহত্ত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। | আর একদিন সকাল বেলা রাখাল ও আমি দুইজনে বরানগরের পরামাণিকের ঘাটের দিকে ডান ধারে একটী গলির ভিতর ‘দা’ নামে এক বাবুর কাছে গিয়াছিলাম। তাহার নিকট হইতে কয়েকখানি বই চাহিয়া আনিয়াছিলাম। কারণ সেই সময় আমার পড়িবার বই পর্য্যন্ত ছিল না। এইরূপে বহু কষ্টের ভিতর দিয়া সেই সময়টা সকলের চলিয়াছিল। অপর একটা কথা উল্লেখ করা আবশ্যক যে, বলরাম বাবু এই সময় টাকা পাঠাইয়া দেওয়ায় আমি পরীক্ষার ফি দিতে পারিয়াছিলাম। এইজন্য এস্থলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি। ব্যাপারগুলি তুচ্ছ হইলেও