পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মানন্দের মনের গতি বা জীবনের গতি, ক্রমে ক্রমে, ধীরে ধীরে, কিরূপে এক ধারায় প্রধাবিত হইয়াছিল এবং কিরূপে তিনি এক মহাশক্তিমান্ পুরুষের রূপ ধারণ করিয়াছিলেন – শ্রদ্ধেয় গ্রন্থকার তাহাই এই ‘রেখা চিত্রে’ ফুটাইয়া তুলিতে চেষ্টা করিয়াছেন। এইজন্য, আমরা যেন বিশেষ করিয়া মনে রাখি যে, এই গ্রন্থখানি শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দের ‘জীবন চরিত’ নহে, ইহা তাহার ক্রমিক মনােবিকাশের বা জীবন-বিকাশের একটা চিত্র’ – মাত্র রেখা দ্বারা অঙ্কিত, বর্ণবিন্যাস বিবর্জিত। শ্রীমৎ স্বামী বিবেকানন্দ, পরিব্রাজক অবস্থায়, সারা ভারতবর্ষ পর্যটন করিয়া, চারিদিকে দুঃখ, দারিদ্র, অজ্ঞানতা, অবসাদ - মৃত্যুর ছায়া দেখিয়া, কুমারিকা অন্তরীপের শেষ প্রস্তরখানিতে বসিয়া, চক্ষের জল ফেলিয়াছিলেন! হৃদি পরিব্রাজক সন্ন্যাসীর অন্তরের এই বেদনানুভূতি মাত্র ভাবপ্রবণতায় পর্যবসান হয় নাই। আসন্ন মৃত্যু হইতে জাতিকে রক্ষা করিবার সন্ধান পাইলেন তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের গূঢ় ভাবপূর্ণ বাণীতে – “শিবজ্ঞানে জীবের সেবা। মৃত্যুর করাল কবল হইতে জাতিকে – মানব জাতিকে রক্ষা করিবার জন্য, তিনি এক ব্যবহারিক বেদান্তের সৃষ্টি করিলেন। সে বেদান্তের মর্মকথা হইল— “বহুরূপে সম্মুখে তােমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর? জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।” তিনি এক নূতন আদর্শের সন্ধান দিলেন-“ত্যাগ-সেবা”। এই ত্যাগ ও সেবার আদর্শ, জীবনে প্রতিফলিত করিয়া, জগতে প্রচার করিবার জন্য, আপন গুরুভ্রাতৃগণকে লইয়া তিনি একটী সঙ্ঘ স্থাপন করিলেন। শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ হইলেন এই সঙ্ঘের-শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রথম