পাতা:অজীর্ণতা প্রতিকার ও ব্যবস্থা.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

한 ১১৭ সহ্য হয় না, তাহাদিগের জঙ্গ ইহার ব্যবস্থা হওয়া কর্তব্য। ছিং —অনেক সময় বিশেষতঃ কলা ডালের সহিত ব্যবহৃত হইয় গাকে ; ইহা উষ্ণ, রুচিকারক, পিত্তবৰ্দ্ধক, বলকারক ও রক্ত প্রবর্তক ; ইহা সেবন করিলে অনেক সময় যাবৎ উদগারে ইহার গন্ধ পাওয়া যায় বলিয়া, অনেকে ইহা পছন্দ করেন না । মেখি —বায়ুনাশক, শ্লেষ্মানাশক, রুচিকারক এবং ক্ষুধাবৰ্দ্ধক রাধুনী –রুচিকারক, তীক্ষপাচকও বানাশক। তেজপত্র –লঘু ও তীক্ষ ; ইহা বায়ু, কফ, গ৷ বমি বমি ও অরুচি নাশ করে। লবণ –ভিন্ন রন্ধন চলিতেই পারে না ; আলবণ সংযুক্ত কোন দ্রব্যই রুচিকারক নহে; কাল ও লবণ সমভাবে প্রয়োগ করিতে জানিলেই তাহাকে সুপাচক অথবা সুপাচিক বলা হইয়া থাকে। কাল ন হইলেও বরং খাওয়া চলিতে পারে, কিন্তু লবণ বিনা উহা প্রায় অসম্ভব । এই লবণ সাধারণতঃ আমরা সৈন্ধব, করকচ ও পাঙ্গ এই তিন ভাবে নিত্য ব্যবহার করিয়া থাকি। ইহার মধ্যে সৈন্ধব ও কল্পকচই বিশুদ্ধ এবং হিন্দুর ব্যবহার্ঘ্য ; পাজ লবণ গো-পূকরাদির রক্ত ও হাড় দ্বারা পরিস্কৃত করা হয়, সুতরাং অশ্বদেশীয় হিন্দু মুসলমালনের অব্যবহার্য্য। সৈন্ধব লবণ, ত্রিদোধনাশক, লৰু, শীতল, বলকারক, রোচক এবং চক্ষুর উপকারক ও অগ্নিদীপক। করকচ, লবণ নাতিশীতোষ্ণ, বায়ুনাশক, কক্ষবৰ্দ্ধক ; পাজ লবণ গুরু, শীতল, বায়ুনাশক ছবিষ্য জন্য সৈদ্ধৰ লবণই ব্যবন্থেয় বলিয়া শাস্ত্রে কথিত আছে গুণ বিচার করিয়া দেখিলেও উহাই শ্রেষ্ঠ বলিয়া প্রতিপন্ন হুইবে ।