নীচু। সে এক অদ্ভুত ভঙ্গি! ওর অতি চমৎকার সুডোল লাবণ্যময় গ্রীবাদেশে সরু সোনার হার চিক্ চিক্ করছে, এলানো নামানো খোঁপা থেকে হেলা গোছা চুল এসে ঘাড়ের নীচের দিকে ব্লাউজের কাপড়ে ঠেকেচে। ওর মুখ দেখতে পাচ্চিনে—মনে হচ্চে এক অপূর্ব্ব সুন্দরী লাবণ্যবতী কিশোরী আমার সামনে। ধরা দেবার সমস্ত লক্ষণ ওর ঘাড় নীচু করার ভঙ্গির মধ্যে সুপরিস্ফুট। অল্পক্ষণের জন্যে নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেললাম, কি হতো এ অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হোলে, মনে আর কিছুক্ষণ স্থায়ী হোলে, তা আমি বলতে পারিনে, সে সময় আমার মনে পড়লো নেপাল মশারি নিয়ে যে-কোনো সময়ে এসে পড়তে পারে। আমি ব্যস্তভাবে ওর হাত ধরে চেয়ার থেকে জোর করে উঠিয়ে বললাম—তুমি এখুনি চলে যাও—
ও একটু ভয় পেয়ে গেল। বিস্ময়ের সুরে বললে—এখুনি যাবো?
—হ্যাঁ, হ্যাঁ, এখুনি।
—আমায় তাড়িয়ে দিচ্চেন?
—এখুনি নেপাল আসবে মশারি নিয়ে। ওর বাড়ী থেকে মশারি আনতে গেল আমার জন্যে।
পান্নার চোখে ভয় ও না-বোঝার দৃষ্টিটা চকিতে কেটে গেল। ব্যাপারটা তখন ও বুঝতে পেরেছে। বললে—আপনি আসরে চলুন।
—না।