না প্যালা দিতে। পান্নার সঙ্গে সেরকম ব্যবসাদারি করতে আমার বাঁধে।
আমি বললাম—এ ক’দিনে যে অনেক টাকা প্যালা দিলে আবদুল—
আবদুল হামিদ বললে—টাকা দিয়ে সুখ এখানে, কি বলেন ডাক্তারবাবু? কত টাকা তো কতদিকে যাচ্ছে।
—সে তো বটেই, টাকা ধন্য হয়ে গেল।
—ঠাট্টা করচেন বুঝি? আপনিও তো টাকা দিয়েচেন।
—কেন দেবো না?
—তবে আমাকে যে বলচেন বড়।
কিছু বলচি নে। যা খুশি করতে পারো।
গোবিন্দ দাঁ বললে—ওসব কথা বোলো না ডাক্তারবাবুকে। উনি অন্য ধাতের লোক। রসের ফোঁটাও নেই ওঁর মধ্যে।
আবদুল একচোট হো হো করে হেসে নিয়ে বললে— ঠিক কথা দাঁ মশায়। অথচ বয়সে আমাদের চেয়ে ছোট। আমাদের এ বয়সে যা আছে, ওঁর তাও নেই।
আমি কাউকে কিছু না বলে ডিস্পেন্সারিতে চলে গেলাম। মাঝিটা অঘোরে ঘুমুচ্চে। তাকে আর ওঠালাম না। নিজেরও ঘুম পেয়েচে, কিন্তু সমস্ত ব্যাপারটা আমার মাথার মধ্যে এমন একটা গোলমালের সৃষ্টি করেচে যে ঘুম প্রায় অসম্ভব। আমি ব্যাপারটাকে ভাল করে ভেবে দেখবার অবকাশ পেয়েও পাচ্ছিনে। মন এখান থেকে একটা ভাল টুকরো, ওখান