— তাই বলচি।
—না। মাঝি ঘুমুচ্চে বাইরের বারন্দায়।
—আপনার বাড়ী কোথায়?
—এখান থেকে পাঁচ মাইল দূরে। নৌকো করে যাতায়াত করি।
—আপনার নৌকোর মাঝি? ওকে বিদায় করে দিন।
—বারে, কেন বিদেয় করবো—
পান্না মুখ নিচু করে চুপ করে রইল। জবাব দিলে না আমার কথার। আমি বললাম—শোনো, তুমি এখান থেকে যাও।
পান্না বললে—তাড়িয়ে দিচ্ছেন?
—দিচ্চিই তো।
—আচ্ছা, আপনার মনে এতটুকু কষ্ট হয় না যে আমি যেচে যেচে—
এই পর্য্যন্ত বলেই পান্না হঠাৎ থেমে গেল। ওর ব্রীড়ামুর্চ্ছিত হাসিটুকু বেশ দেখতে।
আমি বললাম—আচ্ছা, বসো পান্না।
পান্না মুখ তুলে আমার দিকে চেয়ে হাসলে। চোখের চাউনিতে আনন্দ। যে চেয়ারখানা ধরে সে দাঁড়িয়েছিল, সেই চেয়ারটাতেই বসে পড়লো। ঘরের কোনো দিকে কেউ নেই। নির্জ্জন রাত্রি। বর্ষার মেঘ জমেছে আকাশে শেষ রাতের শেষ প্রহরে, খোলা জায়গা দিয়ে দেখতে পাচ্চি। পান্না এত কাছে, এই নির্জ্জন স্থানে, নিজে সেধে ধরা নিতে এসেছে। আমার