পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আখৈ জল । Ο yo শরীরের রক্ত টগবগ করে ফুটে উঠলো। বৃদ্ধ হয়ে পড়িনি এখনো rি পান্না চেয়ারে বসে সলজ হাসি হাসলে আবার। ওর মুখে এমন হাসি আমি আজ রাত্রেই প্রথম দেখেচি। পুরুষের সাধ্য নেই। এই হাসির মোহকে জয় করে। চেয়ারের হাতলে রাখা পান্না সুডৌল, সুগেীর, সালঙ্কার বাহু আমার দিকে ঈষৎ এগিয়ে দিলে হয় তো অন্যমনস্ক হয়েই । কেউ কোনো কথা বলচি না, ঘরের বাতাস থম থম করছে।-যেন কিসের প্রতীক্ষায়। নাগিনী কুহক। দৃষ্টিতে আকর্ষণ করচে তার শিকারকে। এমন সময়ে বাইরের বারান্দাতে মাবিটার জেগে ওঠবার সাড়া পাওয়া গেল। সে হাই তুলে তুড়ি দিচ্চে, এর কারণ ঠিক সেই সময়ে বৃষ্টি এসেচে। বাইরে। বৃষ্টির ছাটে মাবির ঘুম CSS5 আমার চমক ভেঙে গেল, মোহগ্রস্ত ভাব পালকে কেটে যেতে আমি চাঙ্গা হয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে উঠলাম তড়িাক করে চেয়ার ছেড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পান্নাও উঠে দাঁড়ালো। শঙ্কিত কণ্ঠে { বলেল-ও কে ? -আমার মাঝি । সেই তো যার কথা বলেছিলাম খানিক । ८ ।। -ও ঘরে আসবে নাকি । --নিশ্চয়ই -আমি তবে এখন যাই । আপনি যাবেন না থাকবেন ? ন-যাবো । を --না, যাবেন না। আজ আমাদের শেষ দিন। কাল চলে ।