অনুরোধ করলে, ওর কথা এড়াতে পারলাম মা। বড় এক বাটি মাংস ও নিজের হাতে আমার পাতের কাছে বসিয়ে দিলে, সামনে বসে যত্ন করে খাওয়াতে লাগলো বাড়ির মেয়েদের মত। কিন্তু একটা কাজ ও হঠাৎ করে বসলো, আমার মাংসের বাটি থেকে একটু মাংস তুলে নিয়ে মুখে দিয়ে তখন বলচে—খাবো একটু তোমার এ থেকে?
তারপর হেসে বললে—দেখচি কেমন হয়েচে।
আমার সমস্ত শরীর যেন সঙ্কুচিত হয়ে উঠলো, এত কালের সংস্কার যাবে কোথায়? আমি বললাম—ও এঁটো হাত যেন দিও না বাটিতে? ছিঃ—
পান্না দুষ্টুমির হাসি হেসে হাত খানিকটা বাটির দিকে বাড়িয়ে বললে—দিলাম হাত, ঠিক দেবো—দিচ্ছি কিন্তু—
পরে নিজেই হাত গুটিয়ে নিয়ে বললে—না, না, তাই কখনো করি? হয়তো তোমার খাওয়া হবে না—খাও তুমি খাও—। আমি জানি কোনো মার্জ্জিতরুচি ভদ্রমহিলা অতিথিকে খাওয়াতে বসে তার সঙ্গে এমন ধরনের ব্যবহার করতো না—কিন্তু পান্না যে শ্রেণীর মেয়ে, তার কাছে এ ব্যবহার পেয়ে আমি আশ্চর্য্য হইনি মোটেই। পান্না বললে—মাংস কেমন হয়েচে?
—বেশ হয়েচে।
—আমায় নিয়ে যাও এখান থেকে।
—কোথায়?
—যেখানে তোমার খুসি—