পান্না হেসে বললে—সে পথ বন্ধ। আমি বলেই রেখেছি মুজরো করতে যেতে হবে আমাকে আজ। নীলি সঙ্গে যাবে। নীলি সেই মেয়েটি গো, আমার সঙ্গে যে গিয়েছিল মঙ্গলগঞ্জ।
একটু পরে আমরা দু’জনে রাস্তায় বার হই।
নেবুতলার বাসার সামনে রিকসা দাঁড় করিয়ে কেরাণীবাগান লেনের স্বর্ণকারের দোকানে চাবি আনতে গেলাম। বাড়িওয়ালা একহাল হেসে বললে—এসেছেন?—কিন্তু—
—কিন্তু কি?
—চাবি নিয়ে আসিনে। দাঁড়ান একটু।
—আমি আমার স্ত্রীকে যে রিক্সাতে বসিয়ে রেখে এসেছি। ওই বাড়ির সামনে।
—আপনি মাঠাকরুণের কাছে চলে যান। আমি চাবি নিয়ে যাচ্ছি—
পান্না নাকি মাঠাকরুণ। মনে মনে হাসতে হাসতে এলাম।
আমার ইচ্ছে নয় যে বাড়িওয়ালা পান্নাকে দেখে। পান্নার সিঁথিতে সিঁদুর নেই, হঠাৎ মনে পড়লো। পান্নাকে বললাম—তাড়াতাড়ি ঘোমটা দাও। বাড়িওয়ালা আসচে।
খিলখিলিয়ে হেসে উঠেই পান্না হঠাৎ চুপ করে ঘোমটা টেনে দিল। অভিনয় করতে দেখলুম ও বেশ পটু। যতক্ষণ বাড়িওয়ালা আমাদের সঙ্গে রইল বা ওপরে নিচের ঘরদোর