—তুমি খেয়ে এসো, আমার জন্যে নিয়ে এসো শালপাতা কি কলার পাতা কিনে।
—সে বেশ মজা হবে কি বলো?
—খুব ভালো লাগবে। তুমি নাইবে, তোমার কাপড় আছে?
—কিছু না। শুধু হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েচি। কাপড় কোথায়?
—আমার শাড়ী পোরো একখানা। নিয়ে নাও। কনের জল চলে যাবে।
নতুন ঘরকন্না নতুন সংসারের। সহস্র অসুবিধে থাকা সত্ত্বেও এর মধ্যে কেমন একটা অদ্ভুত আনন্দ আছে। হোটেলের অখাদ্য ডাল ভাত আর শাক বেগুনের চচ্চড়ি খেয়ে কি খুসি দু’জনে। আমার দিক থেকে এটুকু বলতে পারি, আমার দেশের সংসারের অবস্থা অসচ্ছল নয়, সুরবালা আমার খাওয়া দাওয়ার দিকে সর্ব্বদা নজর রাখতো, সুতরাং হোটেলের ডাল ভাতের মত খাদ্য আমার মুখে জীবনে ক’দিনই বা দিয়েচে। কিন্তু তবুও তো খেলুম, বেশ আনন্দ করেই খেলুম।
পান্না উচ্ছিষ্ট পাতাগুলো ফেলে দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে পরিষ্কার করে দিলে। বললে—পান নিয়ে এসো দু পয়সার। পয়সা দিচ্চি—বলেই পেঁটরা খুলতে বসলো। আমি হেসে বললাম—শুধু পানের দাম কেন, তা হোলে এক বাক্স সিগারেটের দামও দাও! ওর মুখ দেখে মনে হোল ও আমার এ কথাটাকে শ্লেষ বলে ধরতে পারেনি, দিব্যি সরলভাবে একটা টাকা আমার